
সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারিয়া খাঁন বিপ্লব বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রশাসনে কর্মরত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজনের উপর হামলা ও তাদের সম্পর্কে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছেন। এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিভিন্ন গুরুত্বর পদে কর্মরত থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা সেই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করছেন। ঠিক সেই সময় বিএনপি-জামায়াত-শিবির দেশের এই উন্নয়নকে ব্যহৃত করার জন্য প্রশাসনে কর্মরত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের হত্যার জন্য পরিকল্পিতভাবে হামলা করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিপ্লব আরও বলেন, যাতে মুক্তিযোদ্ধাদের এই সন্তানরা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপদে কর্মরত থেকে দেশের এই উন্নয়ন যাত্রাকে অব্যাহত না রাখতে পারে। কারণ এই উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত থাকলে জামায়াত-বিএনপি কিয়ামত পর্যন্ত আর এই দেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তবে ভয়ের কিছু নাই। এই ষড়যন্ত্রকারীদের খুজে বের করে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা হবে।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার সাদুল্লাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আয়োজনে এক মানববন্ধনে সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারিয়া খাঁন বিপ্লব এসব কথা বলেন।
গাইবান্ধা-সাদুল্লাপুর সড়কের সাদুল্লাপুর পাবলিক লাইব্রেরী এন্ড ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন চলাকালে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রশিদ আজমী, আব্দুর রহমান সরকার, আব্দুল মান্নান আকন্দ, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক হাফিজার রহমান বাদল, নাগরিক কমিটির সভাপতি আবুল বাসার আব্দুল হান্নান পিন্টু, ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান কামরুল হাসান মিলন প্রমূখ।সভাটি পরিচালনা করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান সোহেল।
বক্তারা ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের উপর সন্ত্রাসী হামলাকারীদের চিহ্নিত ও তাদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সরকারি বাসভবনে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখ সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন।