
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম পুলিশ সদস্যদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘যদি কোনও পুলিশ সদস্যদের সাথে কোনও অপরাধীর সম্পর্ক থেকে থাকে তবে তাদের (পুলিশ) চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে আয়োজিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক অপরাধ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায়সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রচলিত আইন শতভাগ অনুসরণ করে দায়িত্ব পালণ করলে পুলিশ বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ও ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে। কোনও পুলিশ সদস্যের আচরণগত কারণে যেন আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
মাদকসেবীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মাদক নির্মূল করতে হলে মাদকসেবীদের তালিকা করতে হবে। মাদকসেবীদের চিহ্নিত করে তাদের পরিবারের সাথে কথা বলতে হবে। তারা যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে সেজন্য তাদের সবরকম সহযোগিতা করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের সংশোধনাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এরপরও মাদকসেবীরা সংশোধন না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শফিকুল ইসলাম আরো বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি আমরা কাটিয়ে উঠেছি। এখন আমাদের পুরোদমে কাজ করতে হবে। আমাদের যে ডাটাব্যাজ আছে তাতে অপরাধীদের সম্পূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে হবে। কোন অফিসার যদি তথ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় তবে তাকে তদন্তকার্য থেকে বিরত রাখা হবে।’
এসময় আগস্ট ২০২০ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কমিশনার। ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ, ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ এবং ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ।