
গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তর খোলাহাটী গ্রামে যৌতুকের বলি কলেজছাত্রী ও গৃহবধু সুমাইয়া আক্তার সেতু হত্যার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ৯ আগস্ট রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের কাউন্সিলের বাজারে এসব কর্মসূচি পালন করে এলাকাবাসী।
গিদারীর রহমান নগর কারিগরী স্কুল ও কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী গৃহবধু সুমাইয়া আক্তার সেতু হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, নিহত সেতুর বাবা শাহিন মিয়া, মা রওশন আরা বেগম, খালা হাসিনা বেগম, গিদারীর রহমান নগর কারিগরী স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. শহিদুল ইসলাম, গিদারী দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক, গিদারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আবু হানজালার, গিদারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, গিদারী ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. এরশাদ মিয়া, গিদারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফেরদৌস আহম্মেদ সজিব ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান মিয়া, রহমান নগর কারিগরী স্কুল ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ সরকার রাসেল ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মুহম্মদ সাদ্দাম হোসাইন।
বক্তারা বলেন, প্রায় এক বছর আগে সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের দক্ষিণ গিদারী গ্রামের শাহিন মিয়ার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার সেতুর (১৯) সাথে একই উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের উত্তর খোলাহাটী গ্রামের রওশন আলমের ছেলে সুজন মিয়ার (২৫) বিয়ে হয়। বিয়েতে নগদ টাকা যৌতুকসহ কয়েক লাখ টাকার ঘরের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদিও দেন বাবা শাহিন মিয়া। এরপরও আরও এক লাখ টাকা দাবি করেন সুজন। চাহিদামতো এই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সেতুর উপর নেমে আসে শারীরিক ও অমানসিক নির্যাতন। এর প্রেক্ষিতে গত বুধবার রাতে উত্তর খোলাহাটীতে স্বামী সুজন ও শ্বশুড়-শাশুড়ীসহ ৬ জন সেতুকে শ্বাসরোধ ও মারধর করে হত্যা করে। হত্যার চারদিন পেরিয়ে গেলেও শ্বশুড় রওশন আলম ছাড়া মূল আসামী সুজন মিয়াসহ অন্যান্য আসামীদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি গাইবান্ধা সদর থানার পুলিশ।
মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে গাইবান্ধা-গিদারী- কামারজানী সড়ক অবরোধ করে। এসময় সড়কের দুইপাশে যানবাহন আটকা পড়ে। সড়ক অবরোধ করে হত্যাকারী সুজনকে অতিদ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।