
মহামারি নভেল করোনা ভাইরাসের তাণ্ডব কিছুতেই থামছে না। প্রতিদিনই দ্রুত বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত মানুষের সংখ্যা। প্রতিদিনই বাড়ছে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায়ও নতুন করে আরও ২ হাজার ৮৫৬ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। এইসময়ে মধ্যে সারা দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফলে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ১৬ হাজার ১১০ জন হয়েছে এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৮০১ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ০৪ শতাংশ ও এই সময়ের মধ্যে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৪১ জন এবং নারী ৯ জন। এ পর্যন্ত যারা কোভিড আক্রান্ত মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ২ হাজার ২০৯ জন, ৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং নারী ৫৯২, ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) এর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিয়মিত বুলেটিনে সংযুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ৯২টি। পরীক্ষা হয়েছে পূর্বের নমুনাসহ ১২ হাজার ৩৯৮টি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১০ লাখ ৭৯ হাজার ৭টি নমুনা।’
কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ১৯ হাজার ২০৮ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৫ দশমিক ১৬ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৮ জন ও ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৪ জন রয়েছেন।’
এ পর্যন্ত বয়সভিত্তিক মৃত্যু শূণ্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, দশমিক ৬৪ শতাংশ; ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ১ দশমিক ০৭ শতাংশ; ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮২ জন, ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ; ৩১ থেকে ৪০ বছরে ১৯০ জন, ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরে ৩৯৭ জন, ১৪ দশমিক ১৭ শতাংশ; ৫১ থেকে ৬০ বছরে ৮২২ জন, ২৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং ষাটোর্ধ্ব ১ হাজার ২৬২ জন, ৪৫ দশমিক ০৪ শতাংশ।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, যে ৫০ জন গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, খুলনা বিভাগে ৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬ জন, সিলেট বিভাগে ১ জন, রংপুর বিভাগে ৭ জন এবং বরিশাল বিভাগে ৪ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৭ জন, বাড়িতে ৩ জন’
এ পর্যন্ত বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ৩৬১, ৪৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ; চট্টগ্রামে ৭০১ জন, ২৫ দশমিক ০৩ শতাংশ; রাজশাহী ১৫৮ জন, ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ; খুলনা ১৮৮ জন, ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ; বরিশাল ১০৬ জন, ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ; সিলেটে ১২৯ জন, ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ; রংপুরে ১০০ জন, ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৮ জন, ২ দশমিক ০৭ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৬৯৭ জন, ছাড় পেয়েছেন ৬৩৩ জন। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে গেছেন ৪৫ হাজার ২০১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৩৪১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৮৬০ জন।
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৫৯ জন। এ পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ১৯ হাজার ৭৯১ জন। ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৩২৪ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ২০০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৯ হাজার ৫৯১ জন।