
করোনা সংকটের পাশাপাশি বন্যা দুর্গত অসহায় মানুষের সুরক্ষাই সরকারের জন্য নতুন আরেকটি চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, প্রতি বছর নানান ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। সংকটের সাহসী ও মানবিক নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জন্য। দুর্যোগকালে মানবিকতার আধার ও আস্থার ঠিকানা শেখ হাসিনা সবসময় অসহায় মানুষের পাশে আছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ( ৯ জুলাই) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির আয়োজিত করোনায় রেড জোনভুক্ত জেলা এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর হাসপাতালে ভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের নানামুখী উদ্যোগের অংশ হিসেবে ৫০ লাখ মানুষের মধ্যে আড়াই হাজার করে টাকা প্রদান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কিছু কিছু অসামঞ্জস্য ধরা পড়ায় সরকার নিজ উদ্যোগেই তদন্ত পূর্বক যাচাই বাছাই করে প্রকৃত অসহায়দের নিকট সহায়তার টাকা দিচ্ছে পৌঁছে দিচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা জনগণের অসহায়ত্ব নিয়ে অবৈধ ব্যবসা করছে, প্রতারণা করছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল।
যে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান কঠোর। হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার ভূয়া সনদ,প্লাজমা ডোনেশন, সুরক্ষাসামগ্রী ক্রয়, হাসপাতালের যন্ত্রপাতি সংগ্রহসহ স্বাস্থ্যখাতে নানান অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছ এবং অব্যাহত থাকবে।
অপরাধীর কোন দলীয় পরিচয় নেই।যতই ক্ষমতাধর হোক তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে বলেও হুঁশিয়ার দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পরে ত্রাণ ও সমাজকল্যান উপকমিটির উদ্যোগে প্রতিনিধিদের মাঝে করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অপরাধীর কোনো দলীয় পরিচয় নেই, যতই ক্ষমতাধর হোক তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে।
তিনি হুশিয়ার করে বলেন, যারা জনগণের অসহায়ত্ব নিয়ে অবৈধ ব্যবসা করছে, প্রতারণা করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল। যে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান কঠোর।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের নানামুখী উদ্যোগের অংশ হিসেবে ৫০ লাখ মানুষের মধ্যে ২৫০০ টাকা প্রদান করা হচ্ছে, ইতিমধ্যে কিছু কিছু অসামঞ্জস্য ধরা পড়ায় সরকার নিজ উদ্যোগেই তদন্তপূর্বক যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত অসহায়দের নিকট সহায়তার টাকা দিচ্ছে।
পরে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে প্রতিনিধিদের মাঝে করোনা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেন শফিক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি ও আনিসুর রহমান।