গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ৫ আসামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগের ২ ঘন্টার ব্যবধানে গ্রেফতার করেছে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।
ঘটনা সুত্রে জানা গেছে, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের দশম শ্রেণির পড়ুয়া এক ছাত্রীকে নিয়ে তার প্রেমিক নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্য ২৭ জুলাই সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে পালাবার পথে উপজেলার নাওভাংগা এলাকায় পৌঁছালে ঐ এলাকার নীল মাহমুদের পুত্র এনামুল হক (৩০), আজিম উদ্দিনের পুত্র রেজাউল (৩২), ভোলা মিয়ার পুত্র ধলু (২৫), এজদুর রহমানের পুত্র সুমন মিয়া (২৩) ও সাহারুল কাজীর পুত্র সাদ্দাম ওরফে সুজন কাজী (২৬) খপ্পরে পড়ে তাদের লালসার স্বীকার হয়। এসময় অভিযুক্ত ঐ পাঁচ ব্যাক্তি প্রেমিকের কাছে থেকে তার প্রমিকাকে ছিনিয়ে নেয় এবং অভিযুক্ত আসামী ধলুর বাড়ীতে নিয়ে এক ঘরে বন্দী করে রাত ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী পালাক্রমে ধর্ষণ করে। প্রেমিক-প্রেমিকার আকুতি-মিনতি শর্তেও স্কুল ছাত্রীকে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনার পর প্রেমিক-প্রেমিকা যুগলদ্বয় রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার সময় গোবিন্দগঞ্জ থানায় পৌঁছে বিষয়টি থানায় অবহিত করলে তাৎক্ষণিকভাবে থানার এসআই মামুনের নেতৃত্ব একটি টিম ভিকটিমদ্বয়কে নিয়ে আসামি ধলুর বাড়ি সনাক্ত পূর্বক অভিযুক্ত ধর্ষক সাদ্দামকে আটক করে এবং তার দেয়া তথ্য মতে বাকি ৪ ধর্ষকদের ভোর পর্যন্ত অভিযানে চালিয়ে পর্যায়ক্রমে আটক করে পুলিশ।
এ তথ্য নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান জানিয়েছেন এ বিষয়ে থানায় মামলা রুজু ও ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা, জুডিশিয়াল জবানবন্দি ও আসামিদের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।