
‘কারা কারা শাহেদের সঙ্গে জড়িত ছিল, কার সহযোগিতায় এই জায়গাটিতে তিনি (শাহেদ) আসছে সবকিছুই আমরা তদন্ত করছি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য যা যা করা দরকার সব করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ করিমের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে অনেকেরই প্রশ্ন আসছে, এই সমস্ত ভুয়া লোক কীভাবে সরকারের সঙ্গে কাজ করে কিংবা সরকার কীভাবে এদের স্বীকৃতি দেয়। সেটা আমরা তলিয়ে দেখছি। যদিও, আপনাদের অনেকের মনেই সন্দেহ আছে, সেগুলো আমরা খুব সিরিয়াসলি নিয়েছি।’
রবিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) অডিটোরিয়ামে করোনা পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের সহায়তা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সংবাদপত্রের ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করলে সবাইকে তা দেয়া হয় না। বিচার বিবেচনা করে হাতে গোনা কয়েকজনকে দেয়া হয়। তারপরেও কিন্তু আজ পর্যন্ত কয়েক হাজার সংবাদপত্রের অনুমোদন হয়েছে। এটাও সত্য। অনেকেই সংবাদপত্রকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। সেখানেও আপনাদেরকে চিহ্নিত করে দেয়া দরকার, যাতে করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি।’
সাংবাদিকদের বেতনের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘আমি যখন মফস্বলে যাই তখন সাংবাদিকদের যে দুরবস্থাটা দেখি, সেই অভিজ্ঞতাও আমার আছে। একটা আইডি কার্ড সাংবাদিক ভাইদেরকে দিয়ে বলে দেয় বেতন আজীবনই বাকি।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের শুরু থেকেই দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আজ সাংবাদিকদের মাঝে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান। অনুরূপভাবে সেটিও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’