ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাদাখে চীনের সঙ্গে সংঘাতে নিহত সেনাদের আত্মত্যাগ বিফলে যেতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন । তিনি বলেন, ভারত শান্তি প্রিয়, তবে উসকানি দেওয়া হলে যে কোনও পরিস্থিতিতে যথাযথ জবাব দিতে সক্ষম।
বুধবার (১৭ জুন) বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে করোনা ভাইরাস সংকট নিয়ে পূর্ব নির্ধারিত এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব কথা বলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
গত সোমবার (১৫ জুন) রাতে বিরোধপূর্ণ লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১১০ ভারতীয় সেনা গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি।
ভারতীয় সেনাসূত্র জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে, একই ঘটনায় নিহত সেনার সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে জরুরি বৈঠকও করেছেন নরেন্দ্র মোদি ও তার মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকে নিহতদের স্মরণে দুই মিনিট নিরবতা পালন করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর বলেন, ‘আমাদের সেনারা চীনের সঙ্গে যুদ্ধ করে প্রাণ হারিয়েছে জেনে ভারতের গর্ব করা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘আমি জাতিকে আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের সেনাদের আত্মত্যাগ বিফলে যাবে না। আমাদের জন্য একতা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
চীনের সঙ্গে একমাসের বেশি সময় ধরে উত্তেজনার সময়ে নরেন্দ্র মোদি নিরব ছিলেন, বিরোধীদের এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ভারত ভিন্নমতকে বিরোধে পরিণত করতে চায়নি।
মোদি বলেন, ‘আমরা কাউকে উসকানি দেইনি, কিন্তু মর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনও আপস করবো না। যখনই সময় আসে তখনই আমরা আমাদের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার শক্তি এবং সক্ষমতার প্রমাণ দেই। আত্মত্যাগ এবং ধৈর্য্য আমাদের জাতীয় চরিত্র। একই সঙ্গে বীরত্ব এবং সাহসও আমাদের জাতীয় বৈশিষ্ট্য।’
উল্লেখ্য, সোমবার গভীর রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় প্যাট্রোলিংয়ে বেরিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিহার রেজিমেন্টের একটি প্যাট্রোল পার্টি। তাদের সঙ্গেই চীনা সেনাদের তীব্র সংঘাত হয়। গত প্রায় এক মাস ধরে এই অঞ্চলটি নিয়ে বিতর্ক চলছে।