গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্বামী হত্যার আসামী গ্রেফতার, মিথ্যা মামলার ষড়যন্ত্র, পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ফাঁসির দাবীতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলণ।
২১ জুন (রবিবার) সকাল ১১ টায় গোবিন্দগঞ্জ সাংবাদিক এসোসিয়েশন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত নুরুন্নবীর স্ত্রী বুলবুলি বেওয়া। এ সংবাদ সম্মেলণে উপস্থিত ছিলেন নিহত নুরুন্নবীর মা নুরজাহান বেওয়া, মেয়ে লিমা আকতার লাবনি। স্ত্রী বুলবুলি বেওয়া বলেন, উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের রতনপুর (বুনাতলা) গ্রামে আমার স্বামীর সাথে পূর্ব থেকে একই গ্রামের ইছাহক আলী কান্দু শেখের ছেলে এজাদুল শেখ (৫০) এর সাথে বসত ভিটার জমি নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল।
এ নিয়ে গত ৭ জুন দুপুরে নিহত নুরুন্নবী সহ আমি বসত ভিটায় ইরি ধানের শুকনা খড়ের পালা দিতে ছিলাম। এ সময় আসামীগণ দলবদ্ধ ভাবে বিভিন্ন অস্ত্রসস্ত্র ও ইটপাটকেল দিয়ে নুরুন্নবীর উপর হামলা চালালে সে গুরুত্বর আহত হয়। আসামীদের হাত থেকে স্বামীকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে চাচা জাফুরুল, চাচাতো ভাই জাহিদ, বোন মোছাঃ মরিয়ম বেগম, আপন ছোট ভাই গাজিউর রহমানকেও বেদম মারপিট করে আহত করে এবং একটি ছাপড়া ঘর, বাথরুম ভাংচুর ও খড়ের পালায় আগুন দেয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন নিভাতে ও আসামীদের হাত থেকে আহতদের উদ্ধার করতে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং পুলিশ ঘটনার হত্যার সাথে জড়িত এজাদুল শেখ সহ দুই ছেলে আশরাফুল (৩২) ও তুহিন (৩০) কে আটক এবং আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়।
ওই দিন রাত ৯ টার দিকে তার স্বামী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় স্ত্রী মোছাঃ বুলবুলি বেওয়া বাদী হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত একই গ্রামের ইছাহক আলীর ছেলে এজাদুল শেখ তার দুই ছেলে আশরাফুল, তুহিন, এজাদুলের স্ত্রী অশিনা বেগম, মৃত-নাজের শেখের ছেলে জাহেদুল শেখ, কলাকাটা হামছাপুর গ্রামের আফছার আলীর স্ত্রী অজিলা বেগম, আশরাফুলের স্ত্রী মুক্তি বেগম ও তুহিনের স্ত্রী সুলতানা বেগম সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১১, তারিখ-৮ জুন/২০। পুলিশ আটক এজাদুল শেখ, আশরাফুল ও তুহিনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
নিহত নুরুন্নবীর স্ত্রী বুলবুলি বেওয়া আরো বলেন, এই হত্যা মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে বাহিরে থাকা আসামীরা তাদের পরিবারের নামে নিজেরাই নিজেদের বাড়ী ঘরের আসবাবপত্র অনত্র সড়ে নিয়ে তাদের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করার ষড়যন্ত্র করছে। এ ছাড়াও মামলা তুলে নিতে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে তার স্বামীর মত তাকেও এই পরিনতি ভোগ করতে হবে বলে লোকালয়ে বলাবলি করছে। তাই নিহত স্বামী নুরুন্নবী হত্যার সাথে জড়িত বাহিরে থাকা সকল আসামীকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে এসে ফাঁসির দাবী জানান এবং তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে পুলিশ প্রশাসনের উর্দ্বর্ত্বণ কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।