
করোনা ভাইরাসে লকডাউনে থাকার গাইবান্ধা শহরের বিভিন্ন হোটেল দোকানপাট বন্ধ থাকায় খাবার সংকটে পড়া মানুষিক ভারসাম্যহীন মানুষ গুলো বিপাকে পড়েছে। খেয়ে না খেয়ে তারা মানবতের জীবনযাপন করছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারী টেলিভিশনে সম্প্রচার হওয়ার পর জেলা পুলিশ এই সব মানুষের দায়িত্ব নেন। প্রতিরাতে তাদের খাবার বিতরন সহ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেন। আজ শহরের ষ্টেশন রোড় এলাকা থেকে ভারসাম্যহীন সেলিককে নিয়ে আসা হয় সদর থানায় চত্বরে এর পর তাকে গোসল করিয়ে নতুন পোশাক পড়িয়ে খাবার খাইয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাবনার মানসিক হাসপাতালে মাইক্রো যোগে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
সেলিমের বাবা সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলে গত কয়েক বছর থেকে অসুস্থ অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছে বাড়িতে থাকে না টাকার অভাবে ওকে চিকিৎসা করাতে পারিনা। আজকে পুলিশের সাহায্যেযে তাকে পাবনা হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে এতে অনেক খুশি আমি।
এবিষয়ে মানবাধিকার কর্মী সালাউদ্দিন কাশেম বলেন, সমাজের এই মানুষের পাশে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার দরকার। অন্যদিকে নিরাপদ চিকিৎসা চাই এর জেলার সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন প্রতিটি মানুষের চিকিৎসার পাবার অধিকার আসে ,সুচিকিৎসা পেলে একটা অসুস্থ মানুষও দ্রুত ভাল হয়ে ওঠে। আজ আমরা পাগল সেলিমকে নিয়ে পরিবারের সাথে পাবনায় যাচ্ছি।
পুলিশ সুপার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সমাজে ছিন্নমুল মানুষ গুলো পাশে জেলা পুলিশ সব সময় কাজ করে আসছে। আগামীতেও কাজ করে যাবে। এজন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর থানার অফিসার ইনচাজ খান মোঃ শাহারিয়া, টি আই এডমিন নুর আলম সিদ্দিক, মানবাধিকার কমী সালাউদ্দিন কাশেম, নাজিম আহম্মেদ রানা, নিরাপদ চিকিৎসা চাই জেলার সাধারন সম্পাদক জিয়াউরসহ বিভিন্ন সাংবাদিকবৃন্দ।