
গাইবান্ধা জেলা শহরে কিশোরী গৃহকর্মী ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও গ্রেফতারের দাবীতে ১১ জুন বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বংলাদেশ মহিলা পরিষদ। পুলিশ সুপারের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু খায়ের। পরে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই’র সাথে মতবিনিময় করেন সংগঠনের জেলা নেতৃবৃন্দ।
এ সময় মহিলা পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি মাহফুজা খানম মিতা, সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিকতু প্রসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদা আক্তার রিটা, লিগ্যাল এইড সম্পাদক নিয়াজ আক্তার ইয়াসমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষককে আইনের আওতায় আনার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, সুন্দরগঞ্জের কিশোরীটি অভিযুক্ত শিক্ষকের আপন চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে। প্রায় ৩ বছর আগে মেয়েটিকে গৃহকর্মী হিসেবে শিক্ষকের গাইবান্ধা শহরের বাড়ীতে পাঠানো হয়। সে সময় কথা ছিল তাকে লেখাপড়া করানো হবে এবং বড় হলে বিয়ের ব্যবস্থা করবেন ওই শিক্ষক। কিন্তু ওই শিক্ষক গত ৮-৯ মাস ধরে জেলা শহরের থানাপাড়ায় নিজ বাড়িতে ওই কিশোরী গৃহকর্মীর উপর যৌন নির্যাতন চালায়। গত ৮ জুন মঙ্গলবার কিশোরীর পরিবার ওই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে গাইবান্ধা সদর থানায় ধর্ষন মামলা করে।