
সরকার নির্ধারিত রেট ১ হাজার ৪০ টাকায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ধান ক্রয়, অস্থায়ী ওএমএস কার্ড বাতিল করে স্থায়ী রেশন কার্ডে রুপান্তর, এনজিও ঋণের উপর কিস্তি আদায় বন্ধের সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি উপেক্ষা করে ঋন আদায়কারীদের শাস্তি, সকল প্রকার কৃষিঋণের সুদ মওকুফের দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ১৮ জুন বৃহস্পতিবার শহরের ১নং ট্রাফিক মোড়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, জেলা কৃষক সমিতির সহ-সভাপতি ওয়াজিউর রহমান রাফেল, সাধারণ সম্পাদক ছাদেকুল ইসলাম, সিপিবির জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর মাষ্টার, কৃষকনেতা জাহাঙ্গীর মন্ডল প্রমুখ।
এসময় নেতৃবৃন্দ, সরকার নির্ধারিত ১ হাজার ৪০ টাকা রেটে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ধান ক্রয়ের দাবি জানান।
তারা বলেন, সরকারের নির্ধারিত রেটে ধান বিক্রি করতে না পারলে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় উঠবে না। ফলে করোনার এই দুঃসময়ে কৃষকরা জীবনবাজি রেখে ধানের যে উৎপাদন করলো তার সুফল থেকে আবারও তারা বঞ্চিত হবেন। বক্তারা বলেন, সরকার আগামি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনজিও ঋণের উপর কিস্তি আদায় বন্ধের সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। কিন্ত প্রজ্ঞাপন উপেক্ষা করে অনেক এনজিও ঋনের কিস্তি আদায় অব্যাহত রেখে চাপ প্রয়োগ করে চলেছে। এতে করে নি¤œ আয়ের মানুষেরা চরম বিপাকে পড়েছেন। করোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এনজিও কিস্তি আদায়ের মেয়াদ বাড়ানোসহ সকল প্রকার কৃষিঋনের সুদ মওকুফের দাবি জানান তারা।
বক্তারা আরও বলেন, অস্থায়ী ওএমএস কার্ড বাতিল করে স্থায়ী রেশন কার্ডে রুপান্তর করে কৃষকসহ নিম্ম আয়ের সকল মানুষের মধ্যে বিতরণ করতে হবে।
বক্তারা করোনারোধে জেলায় জেলায় করোনা টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করে পর্যাপ্ত টেস্টের ব্যবস্থাকরণ, করোনা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার, নার্স, আয়া, পরিচ্ছন্নকর্মী , সেনাবাহিনী, পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশিষ্ট সকলকে পর্যাপ্ত পিপিইসহ সব ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।