গাইবান্ধায় এক মাইক্রোবাস চালককে পুলিশের মারধরের অভিযোগ তুলে ঢাকা-রংপুর সড়ক অবরোধ করেছে পরিবহন শ্রমিকরা। পরে এক পুলিশ কনস্টেবলকে কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করার আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেয়। ১২ মে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে প্রায় আধাঘণ্টা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শহরের মায়ামনি হোটেল এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে পরিবহন শ্রমিকরা। গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার কনস্টেবল হাবিব মিয়াকে মঙ্গলবার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয় বলে ওই থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ‘লকডাউন’ উপেক্ষা করে গাজীপুরের ফরিদপুর এলাকা থেকে একটি মাইক্রোবাস কয়েকজন যাত্রী নিয়ে রংপুরের দিকে যাচ্ছিল। পথে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার সামনে মাইক্রোবাসটিকে থামার সংকেত দেয় পুলিশ। কিন্তু মাইক্রোবাসটি পুলিশের সংকেত উপেক্ষা করে উল্টো লেন ধরে পালিয়ে যাওয়ার সময় সড়ক বিভাজকের দুইটি খুটি ভেঙে ফেলে। পরে পুলিশের একটি পিক-আপ ধাওয়া করে গোবিন্দগঞ্জের হিরোক মোড়ে ওই মাইক্রোবাসটিকে আটক করে বলে ওসি জানান।
তিনি আরও বলেন, এসময় পুলিশ কনস্টেবল হাবিব মিয়া মাইক্রোবাসসহ চালককে থানায় যেতে বলেন। কিন্তু চালক এমরান হোসেন পুলিশের নির্দেশ অমান্য করলে তাকে জোর করে থানায় নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
এসময় মহাসড়কের পাশে অবস্থানকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকসহ পরিবহন শ্রমিকরা পরিস্থিতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মহাসড়ক অবরোধ করে। তবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে ওই পুলিশ সদস্যকে কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে বগুড়া হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয় বলে ওসি জানান।
এদিকে সড়ক অবরোধে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের অভিযোগ, পুলিশ অন্যায়ভাবে ওই মাইক্রোবাস চালককে মারধর করেছে এবং তার কাছে চাঁদা দাবি করেছে বলে মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।মাইক্রোবাস চালককে মারধর এবং চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি আব্দুল কাদের জিলানী।