
একটি দলে কোচের ভূমিকা কি? খেলোয়াড়দের মন বোঝা, তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ঢুকিয়ে দেয়া কিংবা ভুলগুলো শুধরে দেয়া। তবে তরুণদের সঙ্গে সেই কাজটা যত সহজে করা যায়, সিনিয়রদের বেলায় ততটা সহজ নয়, এমনটাই মনে করেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি।
বাংলাদেশ দলে যেমন তরুণ লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাঈম শেখরা আছেন; তেমনি কিন্তু আছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো সিনিয়ররা। ম্যাকেঞ্জি কিভাবে তাদের সবাইকে সামলে নেন? পরামর্শ দেয়ার সময় কি পদ্ধতি অবলম্বন করেন?
টাইগার ব্যাটিং কোচ জানালেন, কাজটা বেশ কঠিনই। তার ভাষায়, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে কঠিনই হলো সিনিয়র খেলোয়াড়রা। যখন তারা খুব ভালো করতে থাকে, তখন তাদের মাথা উঁচুতে থাকে। তাদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরি করতে হয়, ভালো কিছু বলে তাদের মন জোগাড় করতে হয়। বেশিরভাগ ক্রিকেটারের বেলায় কাজটা একইরকম। তাদের পরোয়া করা কিংবা ভেতরের মানসিকতাটা একই ধরনের।’
ম্যাকেঞ্জি নিজেও অনেকটা দিন দক্ষিণ আফ্রিকা দলে খেলেছেন, অধিনায়কও ছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা কোচিং ক্যারিয়ারে বেশ কাজে লাগছে জানিয়ে বলেন, ‘আপনাকে তাদের মধ্যে একজন হওয়ার চেষ্টা করতে হবে, তারা সফল হোক কিংবা ব্যর্থ। আমি আমার ক্রিকেটার জীবনের অভিজ্ঞতা কিছুটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। আমিও তরুণ, প্রতিভাবান, ভেঙে পড়া একজন কিংবা দলের মূল খেলোয়াড় ছিলাম অনেক বছর। আমি এগুলো মেলাতে পারি। আমি নেতৃত্বও দিয়েছি, কোচদের সঙ্গে কাজও করেছি। এসব কিছুর কারণে আমি বুঝতে পারি কখন খেলোয়াড়দের কি দরকার।’
সিনিয়রদের মন বুঝতে হয়, এটা যেমন ঠিক। দলের প্রয়োজনে তাদের সামনে সত্য কথাটা বলতে কখনও দ্বিধা করেন না, এমনটাও জানালেন ম্যাকেঞ্জি।
প্রোটিয়া এই কোচের কথা, ‘আমার মনে হয়, সিনিয়র কারও সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলার উপায় হলো, তাকে জানানো যে, সে আরও ভালো করতে পারে, অথবা আরও উন্নতি করা সম্ভব। তরুণদের এমনটা বলা খুব সহজ। কিন্তু সিনিয়রদের সব সময় বলা যায় না। আমি সিনিয়রদের এমন বলার চ্যালেঞ্জটা নেই এবং সত্যি সমালোচনাটা করি। যদি আমি মনে করি তারা দলের জন্য আরও ভালো কিছু করতে পারে, তবে তা বলার অধিকার তো আমার আছে। আমার কাছে দলই সবার আগে।’