
গাইবান্ধায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। পরে করোনা সন্দেহে এই দুই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের উত্তর গিদারী চরুয়াপাড়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে যক্ষায় (টিবি রোগে) ভুগছিলেন কৃষক ইউনুস আলী (২৪)। যক্ষার রোগীরা নিয়মিতোই জ্বর ও কাশিতে ভোগেন। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার দুপুরে ইউনুস আলী আরও বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৩টার দিকে তিনি মারা যান। তাকে বাড়ীতে নেয়া হলে রমেকের সিদ্ধান্তে গতকাল রাত ১১টার দিকে নমুনা সংগ্রহ করে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম।
অপরদিকে সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে রাশেদুল রহমান (৩২) নামে এক ট্রলিচালক ১৯ এপ্রিল রবিবার ভোররাতে নিজ বাড়ীতে মারা গেছেন। তিনি এক মাস আগে সড়ক দুর্ঘটনায় অসুস্থ্য হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে ওই গ্রামের ইউপি সদস্য বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি স্বাস্থ্য বিভাগকে অবগত করেন। পরে আজ দুপুর ১২ টার দিকে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এ বিষয়ে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. এ বি এম আবু হানিফ আজ বিকেলে বলেন, এই দুই ব্যক্তির সংগ্রহ করা নমুনা আগামীকাল সোমবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজের করোনা শনাক্তের ল্যাবে পাঠানো হবে। পরিবার দুটিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল সদর উপজেলার কামারজানী ইউনিয়নের গোঘাট গ্রামে ঢাকা থেকে আসা এক ইটভাটা শ্রমিক শ্বাসকষ্ট নিয়ে ও ১০ এপ্রিল গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের দক্ষিণ মিয়াপাড়া গ্রামে এক শিশু সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেলে তাদের নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়নি।