২০ জন হারেম বা ‘রক্ষিতা’ সঙ্গে নিয়ে জার্মানির বিলাসবহুল হোটেলে ‘সেল্ফ আইসোলেসনে’ অবস্থান করছেন থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। জার্মান ট্যাবলয়েড ‘বিল্ড’ খবরে জানা গেছে। ৬৭ বছর বয়সী থাই রাজার সঙ্গে তার চার স্ত্রীর কেউ আছে কিনা তা জানা যায়নি।তবে কর্মচারীও আছেন সেই হোটেলে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোনেনবিচল নামে একটি চার তারকা বিলাসবহুল হোটেল পুরোটা ভাড়া করেন রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন।
তবে রাজার সঙ্গে থাকা ১১৯ জন সদস্যকে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ সংক্রমণের কারণে থাইল্যান্ডে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
একজন থাই নাগরিক দাবি করেন, রাজা ভাজিরালংকর্ন ছুটি কাটাতে জার্মানি গিয়েছেন এবং এই সময়ের মধ্যেই থাইল্যান্ডে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে।
এই কথা ছড়িয়ে পড়ায় রাজার ওপর চরম খেপেছেন থাইল্যান্ডের বাসিন্দারা। কিন্তু থাইল্যান্ডে রাজাকে অপমান ও সমালোচনা করলে তাকে ১৫ বছরের জেল দেওয়ার বিধান রয়েছে। সেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশটির হাজার হাজার নাগরিক সামাজিক মাধ্যমে এর কড়া সমালোচনা করেছেন।
ইতিমধ্যে দেশটির টুইটারে ‘#হোয়াই ডু উই নিড অ্যা কিং’ (আমাদের কেন রাজা প্রয়োজন) লিখে প্রতিবাদের রব উঠেছে। যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ লাখ বার টুইটারে পোস্ট হয়েছে।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডে প্রায় ১৪শ মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে এবং সাতজন এ ভাইরাসে মারা গেছেন।