
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের চার পুলিশ হত্যার সপ্তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আয়োজনে থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) আব্দুল আউয়াল। আরো বক্তব্য রাখেন পুলিশ পরিদর্শক তাজুল ইসলাম, উপজেলা জাপার সাধারণ আঃ মান্নান মন্ডল, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন আহবায়ক রেজাউল আলম রেজা, পৌর আ’লীগ সভাপতি আহসানুল করিম চাঁদ, উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি একেএমএ হাবিব সরকার, বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান নজমুল হুদা, বামনডাঙ্গা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি সমেস উদ্দিন বাবু, আমিনুল ইসলাম প্রমূখ। পরে নিহত চার পুলিশ সদস্যের পরিবারের হাতে শান্তনামূলক উপহার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। আলোচনার পূর্বে নিহত ৪ পুলিশের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং নিহত পুলিশদের বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতা বিরোধী অপরাধের আসামী জামায়াত নেতা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ওইদিন সুন্দরগঞ্জে জামায়াত-শিবির ও সাঈদী ভক্ত কয়েক হাজার জনতা নির্মম তান্ডব চালিয়ে বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের চার পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করে। এছাড়া সুন্দরগঞ্জ শহরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে দুই শতাধিক দোকানপাট, বসত বাড়ি,রাজনৈতিক অফিস ভাংচুর করে। সেইসাথে বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, বামনডাঙ্গা রেল ষ্টেশন, মুক্তিযোদ্ধা অফিসসহ ১২/১৩টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়।