
ভারতে মুসলিম গণহত্যা বন্ধে বিশ্বমুসলিমকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ধোলাইরপাড় হাইস্কুল মাঠে ইসলামী যুব আন্দোলন আয়োজিত বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব কেএম আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, নওমুসলিশ ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, রামপুরা জামিয়া কারীমিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতী ওয়ালী উল্লাহ, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মুফতী মানসুর আহমাদ সাকী।
তিনি বলেন, ভারতে মুসলিম নির্যাতন, মসজিদে অগ্নিসংযোগ, কুরআনে অগ্নিসংযোগ, মুসলিম নারী-পুরুষ ও শিশুদের নিমর্মভাবে হত্যা করে বিশ্বের দেড়শ কোটি মুসলমানের হৃদয়ে প্রতিরোধের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। মুসলমানদের লাশের উপর হোলি খেলা খেলছে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপির হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।
এরপরও বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে তাকে রাষ্ট্রীয় মেহমান করে এনে সম্মানে ভুষিত করার অর্থই হলো মুসলিম গণহত্যায় উসকে দেয়া। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ খুনি মোদিকে গ্রহণ করতে রাজি নয়। তাকে ফিরিয়ে দিয়ে মুসলিম উম্মাহর পক্ষে অবস্থান নিন, মুসলমানরা আপনাদের পক্ষে থাকবে।
আর মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মোদিকে আনলে তা সরকারের জন্য বুমেরাং হতে পারে। মুফতী ফয়জুল করীম আগামী ১৩ মার্চ শুক্রবার সারাদেশে প্রতিটি মসজিদে ভারতে নিহত ও নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য বিশেষ দোয়া এবং খুনি মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে দেশব্যাপী থানায় থানায় বিক্ষোভ সমাবেশ সফলের আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর দুর্দিন চলছে। বিশ্বব্যাপী তাগুতি শক্তিগুলো ইসলামের নাম-নিশানা মুছে ফেলতে কাজ করছে। মুসলিম বিশ্ব এসব চোখ বুজে মেনে নিচ্ছে। কিন্তু সামর্থ থাকা অবস্থায়ও যদি প্রতিবাদ না করে তাহলে আল্লাহর কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। এ থেকে কেউ নিস্কৃতি পাবে না।