
ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা তিন মামলায় পিরোজপুর-১ (নাজিরপুর, পিরোজপুর, নেছারাবাদ) আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুল মান্নান এ আদেশ দেন।
দুদকের এসব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের নেয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা মঙ্গলবার পিরোজপুর জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
দুদকের আইনজীবী মনসুর উদ্দিন হাওলাদার বলেন, সাবেক এমপি আউয়ালের বিরুদ্ধে জেলার নাজিরপুর থানার সামনে ও উপজেলা সদরের ভূমি অফিসের পেছনের সরকারি জমি দখল করার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে গত ৩০ ডিসেম্বর আউয়ালের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক পরিচালক মো. আলী আকবর তিনটি মামলা করেন। এর একটিতে তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকেও আসামি করা হয়। এসব মামলায় তারা গত ৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন পান।এদিকে দুর্নীতির মামলায় স্ত্রীসহ সাবেক এমপি আউয়ালকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় আদালত পাড়াসহ পুরো শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তেজিত নেতাকর্মীদের ওপর শহরের বিভিন্ন জায়গায় লাঠি চার্জ করেছে পুলিশ। শহরের সকল দোকান ও ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। নেতাকর্মীরা সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে অগ্নিসংযোগ করায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এছাড়া জেলা জজের অপসারণ দাবি করে অনির্দিষ্টকালের জন্য আদালত বর্জন করেছে পিরোজপুরের আইনজীবীরা। এ নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।