
সিলেটে ১৫৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেলেন তামিম ইকবাল। দলও পেল বড় সংগ্রহ।
আজ মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩২২ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা।
ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগের সর্বোচ্চ রানের স্কোর ছিল ৩২১। গত ১ মার্চ এই সিলেটেই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওই স্কোর করেছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ৩৩৩। গত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই রান করেছিল বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ১৬৯ রানে। সুতরাং, টাইগাররা যদি আজ জয় পায় তাহলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নেবে।
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন বাংলাদেশের পক্ষে ১৩৬ বলে ২০টি চার ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে ১৫৮ রান করেছেন তামিম। এর আগে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে ১৫৪ রান করেছিলেন তামিম। সেদিন থেকেই তামিমের এই স্কোরটি ছিল ওয়ানডেতে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের স্কোর। মঙ্গলবার তামিম ১৫৮ রানের ইনিংস খেলে নিজের সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছেন। ওয়ানডেতে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের দিক থেকে সেরা দশটি ইনিংসের মধ্যে তামিমেরই আছে ৬টি।
এদিন তামিম ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন। ৪২ বলে পূরণ করেন ব্যক্তিগত অর্ধশত। ১০৬ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। সেঞ্চুরি করার পর তিনি যেন আরো ভয়ানক হয়ে ওঠেন। ১৩২ বলে তামিম ১৫০ রান পূরণ করেন।
ব্যক্তিগত ১৫০ রান করার পর ৪৬তম ওভারের প্রথম বলে লং-লেগ দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের রেকর্ড ভাঙেন তামিম। এই ওভারের চতুর্থ বলে লং-অফে মুতোমবোদজির হাতে ক্যাচ হন তিনি। ওয়ানডেতে ২৩ ইনিংস পর সেঞ্চুরি করেছেন তামিম। এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৮ জুলাই ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম। ওয়ানডেতে তামিমের এখন মোট সেঞ্চুরি ১২টি।
তামিম ছাড়াও ভালো খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ৫৫ রান করে আউট হন তিনি। ১৮ বলে ৩২ করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ মিথুন। মাহমুদউল্লাহ ৪১ করে আউট হয়ে যান। জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে মুম্বা ২টি, টিশুমা ১টি, তিরিপানো ২টি ও মাধিভেরে ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
এদিন বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে লিটন ও শান্তকে হারায়। দুজনই রান আউট হয়ে ফিরে যান। দলীয় ৬৫ রানে পড়েছিল দ্বিতীয় উইকেট। এরপর দলের হাল ধরেন তামিম-মুশফিক। দুজনে মিলে ৮৭ রানের পার্টনারশিপ করেন। দলীয় ১৫২ রানে মুতোমবোদজির হাতে ধরা পড়েন মুশফিক।
এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যান বাংলাদেশের ক্রিকেটের পঞ্চপাণ্ডবের দুই পাণ্ডব তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই জুটি ১০৬ রানের পার্টনারশিপ করেন। দলীয় ২৫৮ রানে মাধিবেরের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরতে হয় রিয়াদকে। মিথুনের ঝড়ো ব্যাটিং দলকে বড় সংগ্রহে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।