গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ৪৮১.৬৬ বর্গ কিঃমিঃ আয়তন ও ৫,৫১,৪৮১ জন লোকের এক মাত্র ভরসা উপজেলা হাসপাতাল ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছেন ডাক্তারেরা। জেলার বৃহত্তম ৫০ শয্যা (২য়তলা) এ হাসপাতালটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যে কোন মুহুর্তে ভবন ধসে প্রাণহানী ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। ভবনটি পুরাতন হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরে ভবনের প্লাষ্টার ধসে পড়ছে ও ছাদে ফাটল ধরেছে। হাসপাতালের এ ভয়াবহ অবস্থা থেকে কর্মকর্তা/কমচারী ও সেবা নিতে আসা রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার আপ্রাণ প্রচেষ্টায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালটি পূর্ণনির্মানে একটি বিল ৯ম সংসদের মন্ত্রী সভায় অনুমোদন হয় যার সিরিয়াল নং-৬৩। এরপর ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর টেন্ডার হওয়ার কথা এবং ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী ভবনের কাজ শুরু ও ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী ভবনের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মন্ত্রণালয়ে ফাইলবন্দি থাকায় আজও টেন্ডার হয়নি বলে হাসপাতাল সুত্রে জানাগেছে।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মজিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাণহানীর আশংকার মধ্যে দিয়ে গ্রাম থেকে আসা অসহায় সেবা প্রত্যাশী রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে। আমার নিজের অফিস রুমের ছাদ ধসে পড়েছে। তিনি অল্পের জন্য প্রাণহানী থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ২৪ কোটি ব্যয়ে জেলার বৃহত্তম এ হাসপাতালটি পূর্ণনির্মানে মন্ত্রী সভায় অনুমোদন হয় এবং টেন্ডারের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। জানিনা কি কারণে টেন্ডারটি ছাড় দেওয়া হয়নি। এ বৎসরের চলতি মাসে পূর্ণনির্মাণ ভবনের কাজ বুঝে নেওয়ার কথা ছিল। ভবনটি পূর্ণনির্মাণ না হওয়ায় স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী ও সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী দৈনিন্দন কর্মঘন্টায় আতংকের মধ্যে আছে। উপজেলার সচেতন মহলের দাবী জরুরী ভাবে স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী মানুষের জীবন রক্ষায় জেলার বৃহত্তম এই হাসপাতালের পূর্ণ নির্মাণ ভবনটির টেন্ডার সম্পন্ন ও দ্রুত কাজ শুরু করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্দ্বর্ত্বণ কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।