
করোনা ভাইরাসে আতংঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তার চেয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশী। এর রোগ হতে মুক্তির উপায় পরিস্কার থাকা ও হালাল খাবার খাওয়া। পশু পাখি প্রানী জাতীয় খাবার বা সমুদ্রের মাছ না খাওয়া। এছাড়াও হালাল খাবার গুলো তৈরীতে খালি হাত ব্যবহার না করা বা খালি হাত ব্যবহার করার পরে ঐ হাতে নাকে মুখে কানে ছোয়া যাবে না।
সব সময় যতটা পারা যায় পরিস্কার থাকা দরকার। সর্বপরি ইসলামের বিধান অনুসারে আপনাদের জীবন বিধান পালন করলে আপনি নিরাপদ থাকবেন থাকবে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের হেফাজতে। করোনা ভাইরাস রোধে এটি বিশ্বে বড় বড় রাষ্ট্রে বিজ্ঞানিগণের সর্বশেষ বুঝতে পেরেছেন। এ ভাইরাস রোধে ইসলামের বিধানমতে জীবনযাপন করার উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন।
এই করোনা ভারাইস (কোভিট ১৯) বিশ্ব জুড়ে করুন মৃত্যুর দেখা দিয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যেমন মারা যাচ্ছেন তেমনি চিকিৎসকগণের পরামর্শে ও তত্বাবধানে অসুস্থ্য হচ্ছেন আক্রান্তরা। যদিও এ পর্যন্ত এ রোগের লক্ষণ যাদের মাঝে দেখা দিয়েছে তারা সকলে প্রবাসী। এই রোগে যারা আক্রান্ত হবে তাদের ভয়ের কিছু নেই। তারা তাদের উত্তরসূরীদের নিরাপদ রাখতে নিজ হতেই করোনা মোকাবেলায় সহযোগীতা করতে হবে রাষ্ট্র কে। প্রবাসীরা যেমন এ দেশের নাগরিক হিসাবে যেমন এ দেশে ফিরেছেন। তেমনি এ রাষ্ট্র কে বাচাতে রাষ্ট্রের দরিদ্র মানুষ গুলোকে বাচাতে এগিয়ে আসবেন। অনেক প্রবাসী দেখা যাচ্ছে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরে এসে বিষয়টি লুকিয়ে যাচ্ছেন। অথচ এই প্রবাসী নিজের অজান্তে আরো আক্রান্তে সংখ্যা বৃদ্ধি করে ফেলেছেন। নিজের পরিবারের সদস্যরাসহ অসাবধানতায় এ রোগের চিকিৎসকগণও বর্তমান সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন। এটি সবচেয়ে শক্তিশালি ছোয়াছে রোগ ভাইরাস যা বিদুৎগতিতে সারা শরীরের শিরায় শিরায় নিমেষে প্রবেশ করে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করলে তাকে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক কবরস্থ করাও সম্ভব নয়। কারণ তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় কবরস্থ বা সমাধিত করা হবে। এ ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসকে পরামর্শ ক্রমে সুস্থ্য হওয়ার সম্ভবণা বেশী। তাই আক্রান্ত প্রবাসীরা নিজে নিরাপদ থাকুন, পরিবার সমাজ ও দেশ কে নিরাপদ রাখুন।
প্রবাসীদের জন্য নয় সারা বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস নিয়ে আইন জারি করেছে রাষ্ট্র গুলো।সেখানে চ্যালেঞ্জিং উন্নয়নের পথে চলতে থাকা বাংলাদেশ এ দূর্যোগ মোকাবেলায় যে উদ্যোগ গ্রহন করেছে তাতে সহযোগীতা করা। নিজ মাতৃভূমির মানুষ গুলোকে নিরাপদ রাখতে সার্বিক সহযোগীতা প্রয়োজন সবচেয়ে বেশী।
গাইবান্ধা জেলা জুড়ে ৪ চীনা নাগরিকসহ ৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। যাদের বেশীরভাগ প্রবাসী ও বিদেশী নাগরিক এ তথ্যসূত্র নিশ্চিত করেন, সিভিল সার্জন গাইবান্ধা এবিএম আবু হানিফ। তিনি সবাই কে সচেতন ও সাবধানে থাকার জন্য বলেছেন।