
বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। করোনা সংক্রমণ রোধে ঘরের বাইরে থাকতে নিরুৎসাহিত করছে জেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী। দুর্যোগের এই সময় নিম্নআয়ের মানুষের আয় রোজগার বন্ধ। করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে গাইবান্ধার দরিদ্র শ্রমজীবী, দিনমজুরদের জীবন। যাদের ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়’ তাদের জন্য এ পরিস্থিতি খুবই শোচনীয়। আত্মমানবতার সেবায় এসব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন।
শনিবার (২৮ মার্চ) গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তর ধানঘড়ায় শ্রমজীবী, দিনমজুর ও নিম্নআয়ের কর্মহীন এসব মানুষের মাঝে চাল, ডাল, তেল, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আবদুল মতিন। এসময় তিনি করোনা সংক্রমন রোধে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হিসেবে তাদের হাতে সাবান ও মাস্কও তুলে দেন।
ইতোমধ্যে প্রশাসনের তৎপরতায় ফাঁকা শহর-বন্দর- গ্রাম। সুনশান নিরবতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে চিরচেনা গাইবান্ধা। নেই যানবাহন চলাচল, বন্ধ দোকানপাট। ব্যতিক্রম শুধু কাঁচাবাজার এবং ওষুধের দোকান। যানজটপ্রবন শহরের ব্যস্ত সড়ক কোলাহলমুক্ত ফাঁকা। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে আসছে না কেউই। বিনোদন পার্ক আর পর্যটন এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। সবমিলয়ে সুনসান নিরব-নিস্তব্দ চারিদিক। পুরো এলাকা প্রায় জনমানব শূন্য। রাস্তার মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি। সেনা সদস্যদের টহল আর প্রশাসনের পক্ষে জনসচেতনতায় চলছে মাইকিং…।
ডিসি মতিন বলেন, করোনাভাইরাসে শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্ব আক্রান্ত। দেশ ও জাতিকে রক্ষার স্বার্থেই সরকার সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। দেশের এ পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী কর্মহীন এসব মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছে জেলা প্রশাসন। তাদের জন্য এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।