বাংলাদেশসহ ১০ দেশের নাগরিকদের কুয়েত প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটির সরকার। প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতেই এ আদেশ দেয়া হয়।
ওই ১০ দেশের নাগরিকরা কুয়েত দূতাবাসের দেয়া সনদ দেখাতে পারলে কেবল তাদের সে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। সেই সনদে লেখা থাকবে ‘ওই যাত্রী করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত’।
গতকাল মঙ্গলবার কুয়েতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। ৮ মার্চ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রভাবশালী দৈনিক গালফ নিউজ।
বাংলাদেশ ছাড়াও ফিলিপাইন, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মিশর, সিরিয়া, আজারবাইজান, তুরস্ক, জর্জিয়া ও লেবাননের নাগরিকদের ওপর এই কড়াকড়ি কার্যকর হবে।
আজ বুধবার কুয়েতের বেসামরিক বিমান চলাচল এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, এ স্বাস্থ্য সনদ অবশ্যই কুয়েত দূতাবাস থেকে অনুমোদিত হতে হবে। উল্লেখিত দেশের মধ্যে যেসব দেশে কুয়েতের দূতাবাস নেই, সেসব দেশের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যায়িত সনদ থাকতে হবে। অন্যথায় নাগরিককে ফেরত পাঠানো হবে।
কুয়েতের বেসামরিক বিমান চলাচল আরও জানায়, নির্দেশ অমান্য করা কোনো নাগরিককে ফেরত পাঠাতে অর্থ গুনবে না কুয়েত সরকার। নিজ খরচে তাকে ফিরে যেতে হবে। পাশাপাশি নির্দেশ অমান্য করার কারণে বহনকারী বিমান সংস্থাকে জরিমানা করা হবে।
মধ্যপ্রাচের দেশগুলোর মধ্যে ইরানের পর কুয়েতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ জনে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর এটি চীনের বেশ কিছু শহরে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।