করোনা ঠেকাতে ‘জনতা কারফিউয়ের’ দিনেই গতকাল ভারতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন। এ নিয়ে মৃত্যের সংখা দাঁড়িয়েছে ৮ জনে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাই ও রাজধানী দিল্লিসহ ৮০ টি শহরে ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার ভারতজুড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আহূত ‘জনতার কারফিউ’ পালিত হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ কারফিউ চলে। এ সময় সারা দেশে সব ধরনের প্যাসেঞ্জার ট্রেন বন্ধ থাকে। বন্ধ থাকে দূরপাল্লার ট্রেনও।
দক্ষিণ রেল, পশ্চিম রেল ও ইস্টকোস্ট রেলওয়ে তাদের অধিকাংশ ট্রেন বন্ধ থাকে। জনতার কারফিউকে কেন্দ্র গতকাল ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল ছিল কার্যত জনমানবহীন। পশ্চিবঙ্গের ধর্মতলা, পার্ক স্ট্রিটে সকালের দিকে কিছু লোকজন দেখা গেলেও পরে মানুষের চিহ্ন দেখা যায়নি। রাজপথগুলো ছিল সুনসান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল থেকে গোটা কলকাতা শহরে বেসরকারি বাস দেখা যায়নি। ধর্মতলার মোড়ে সকালের দিকে সরকারি বাস টার্মিনাসে কিছু মানুষের ভিড় করেন। তারা জরুরি কাজে কোথাও যাওয়ার জন্য এসেছিলেন। একমাত্র তাদের জন্যই গুটিকয়েক দূরপাল্লার সরকারি বাস এদিন চলেছে। এছাড়া সকাল থেকে ধর্মতলা, ময়দান, চাঁদনী চক, পার্ক স্ট্রিটে কোনো চা-এর দোকানও খোলা পাওয়া যায়নি। মানুষ থেকেছেন ঘরবন্দী। অনেকেই বলেছেন, বড় মাপের বনধও এই বাস্তবতায় হার মেনেছে। এদিকে আজ থেকে ভারতের ৭৫টি জেলায় শুরু হচ্ছে লকডাউন।একদিনের জনতা কারফিউ শেষ হওয়ার পর মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এ লকডাউন চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এ কর্মসূচিকে সামনে রেখে গতকাল এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশ জুড়ে সব যাত্রীবাহী ট্রেন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে কলকাতার মেট্রো পরিষেবাও। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতেই সমস্ত মেল, এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তবে যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করা হলেও রেলের পণ্য পরিষেবা জারি থাকবে।