
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আয়োজন নিয়ে বিএনপি বিরোধীতার জন্য বিরোধীতা করছে। তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড। শত চেষ্টা করেও বঙ্গবন্ধুর ঔজ্জ্বল্য ঢেকে দিতে পারেনি তারা।
আজ বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ।
বিচারক বদলির বিষয়ে দলীয়ভাবে কোন মন্তব্য করতে চাননি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি গভীরভাবে লক্ষ্য করছি। আমরা আইনের শাসনে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। বিষয়টি সম্পূর্ণ বিচার বিভাগ ও আইন মন্ত্রণালয়ের বিষয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আইন ও বিচার বিভাগের মধ্যে কোন ভুল বোঝাবুঝি হলে তারাই সমাধান করবে। দলীয়ভাবে আমরা কোন মন্তব্য করবো না। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। কোনো বিচ্যুতি দেখলে ব্যবস্থা নেবো। বিএনপির বক্তব্য সম্পর্কে কাদের বলেন, বিএনপি ইস্যু খুঁজছে। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।
ক্ষমতাসীন দলে কিছু অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়ে- এমন ইঙ্গিত দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রুলিং পার্টিতে এ ধরনের বেনোজল (বন্যায় ভেসে আসা) ঢুকে পড়বেই। এখনো অনেক বেনোজল শাস্তির পথে আছে। আমাদের দলীয় অনেকেরই জড়িত থাকার বিষয়ে আমরা বিব্রত হইনি, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে দেখেছি। কাজেই এখানে আমরা বিব্রত নই। তারা কোন দলের লোক, কী তাদের পরিচয়, সেটি আমরা দেখিনি।
অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সৎসাহস সরকারের আছে জানিয়ে ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ধরনের অপরাধ, অপকর্ম, একটা বিশাল দেশ বাংলাদেশ– হতেই পারে, কিছু বেনোজলও ঢুকবে। বেনোজল রুলিং পার্টিতে ঢুকবে। বেনোজল আমরা প্রতিরোধ করতে জানি এবং এ বেনোজলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সৎসাহস শেখ হাসিনার সরকারের আছে।
আরো অনেকে নজরদারিতে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, শুদ্ধি অভিযানের নজরদারিতে এখনও অনেক বেনোজল শাস্তি মোকাবেলা করার পথে আছে, নজরদারিতে আছে। কাজেই কেউ যেন মনে না করে কেউ একজনের পাপ, অপরাধ দলীয় পরিচয় থাকার কারণে ঢাকা পড়ে যাবে অথবা শাস্তি থেকে পার পেয়ে যাবে।
বিদেশ যাওয়ার প্রাক্কালে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়াকে সম্প্রতি বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে তাকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে বন্দী।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, অপরাধী দলীয় কেউ হলেও আমরা বিব্রত হইনি, ব্যবস্থা নিয়েছি, ব্যবস্থা নেবো। অপরাধীরা নজরদারিতে আছে। তারা পার পাবে না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।