1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২১ অপরাহ্ন
১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
লালমনিরহাটে দুলুর রোগমুক্তি কামনায় বিএনপির দোয়া মাহফিল গাইবান্ধায় আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন পলাশবাড়ীর হোসেনপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারণায় লিফলেট বিতরণ গাইবান্ধায় মাসব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ সাংবাদিক রিকতু প্রসাদের মায়ের পরলোকগমন : শোক ও সমবেদনা ঢাকার সোহরাওয়ার্দীতে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত সম্মেলন: কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে উত্তাল সমাবেশ আমদানির সংবাদে দিনাজপুরে পেঁয়াজের দাম কমেছে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ ঢাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড: বদরগঞ্জে আশরাফুলের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল পলাশবাড়ীতে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত

১৭৭ রানেই ভারতকে গুটিয়ে দিল টাইগাররা

  • আপডেট হয়েছে : রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

টিসে জিতে টাইগাররা বেছে নিলেন ফিল্ডিং। কেন এমন করেছেন তা অবশেষে বোঝা গেলো। মাত্র ১৭৭ রানে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে ৪৭.২ ওভারে অলআউট করেছে টাইগাররা।বিশ্বকাপ জয়ের জন্য বাংলাদেশের যুবাদের করতে হবে ১৭৮ রান।

শুরু থেকেই ভারতকে চেপে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জাসওয়াল এবং তিলক ভার্মা ৯৬ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের সামনে কিছুটা চোখ রাঙানি দিয়েছিল। কিন্তু ভারতীয়দের সেই প্রতিরোধও ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের বোলারদের দৃঢ়তার সামনে।

শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, রাকিবুল হাসান, অভিষেক দাসরা আজ ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সামনে যেন এক একটি যম। সর্বোচ্চ রান করা যসশ্বি জাসওয়ালই কেবল কিছুটা সমীহ আদায় করতে পেরেছে বাংলাদেশের বোলারদের কাছ থেকে। তাও, বাংলাদেশের পেসার শরিফুল ইসলামের দুর্দান্ত পেস বোলিংয়ের সামনে সেঞ্চুরিটা করতে পারেননি। আউট হয়েছেন ৮৮ রানে।

অভিষেক দাস নেন ৩ উইকেট। শরিফুল ইসলাম এবং তানজিম হাসান সাকিব নেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া রাকিবুল হাসান নেন ১টি উইকেট। দুটি হলেন রান আউট।

শুরুতেই ভারতীয় ওপেনার দিব্যংশ সাক্সেনাকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দিয়েছিলেন মিডিয়াম পেসার অভিষেক দাস। ৭ম ওভারের চতুর্থ বলে সাক্সেনাকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে। দলীয় ৯ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে কঠিন চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত।

কিন্তু এই চাপ সামলে ধীরে ধীরে ঠিকই নিজেদের বের করে আসছিল জাসওয়াল এবং তিলক বার্মা। রান তোলার গতি কিছুটা মন্থর হলেও উইকেট ধরে রেখেই খেলার চেষ্টা করছিল ভারত। অবশেষে এই জুটিতে ভাঙন ধরালেন তানজিম হাসান সাকিব।

টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ার পর বাংলাদেশের হয়ে শুরুটা করেছিলেন দুই নিয়মিত পেসার শরীফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। এ দুই তরুণের আগ্রাসী পেস বোলিংয়ে ব্যাটই চালানোর সুযোগ পাননি ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দুই ওপেনার যশস্বি জাসওয়াল এবং দিব্যংশ সাক্সেনা। রান করতে রীতিমতো সংগ্রামই করতে হয়েছে তাদের।

সাকিব-শরীফুলের আগুনে বোলিংয়ের পূর্ণ ফায়দা নিয়েছেন তিন নম্বরে বোলিং করতে আসা অভিষেক দাস। নিজের প্রথম ওভারেই তিনি ফিরিয়ে দেন বাঁহাতি ওপেনার সাক্সেনাকে।

রানের জন্য হাঁসফাঁশ করতে থাকা সাক্সেনা অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন পয়েন্টে দাঁড়ানো মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে। আউট হওয়ার আগে ১৭ বল খেলে মাত্র ২ রান করতে সক্ষম হয়েছেন সাক্সেনা।

৯ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর বাংলাদেশের স্নায়ুর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ভারতের দুই ব্যাটসম্যান যশস্বি জাসওয়াল এবং তিলক বার্মা। ৯৬ রানের বিশাল জুটি গড়ে বাংলাদেশের সামনে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন তারা দু’জন।

অবশেষে তানজিম হাসান সাকিবের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে অসাধারণ এক ক্যাচ ধরলেন শরিফুল ইসলাম। সেই ক্যাচেই ফিরে গেলেন ভারতের হয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা তিলক বার্মা। ৬৫ বলে ৩৮ রান করে ফিরে যান তিলক বার্মা।

তানজিম হাসান সাকিবের দেখানো পথে হেঁটে ভারতীয়দের চেপে ধরলেন স্পিনার রাাকিবুল হাসান। তার সিম্পল ডেলিভারিটিতে পড়তেই পারেনি ভারতীয় অধিনায়ক প্রিয়াম গর্গ। আলতো করে তিনি তুলে দেন কভার অঞ্চলে দাঁড়িয়ে থাকা তানজিম হাসান সাকিবের হাতে। সহজ ক্যাচটা তালুবন্দী করতে মোটেও ভুল করেননি সাকিব। ১১৪ রানে পড়লো ভারতের তৃতীয় উইকেট।

পেসার শরিফুল কেন বাংলাদেশের প্রধান স্ট্রাইক বোলার, সেটা যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে এসে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি। শুরুতে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতের রানের চাকা বেধে রাখা, মাঝ পথে এসে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা যশস্বি জাসওয়ালকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলেন তিনি।

শুধুই জাসওয়ালকে ফেরানোই নয়, পরপর দুই বলে দুই উইকেট ফেলে দিয়েছেন এই পেসার। তৈরি করেছিলেন হ্যাটট্রিকের সুযোগ। যদিও হ্যাটট্রিক হয়নি। তবে দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ।

৮৮ রান করে আরও একটি সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন যশস্বি জাসওয়াল। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত সেঞ্চুরি করে ভারতকে জিতিয়ে তোলেন ফাইনালে। সেই জাসওয়াল ফাইনালেও গলার কাঁটা হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের বোলারদের সামনে।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেসার শরিফুলের দুর্দান্ত ডেলিভারির সামনে সেঞ্চুরিটা হলো না তার। ১২১ বলে ৮৮ রান করে ফিরে যান তিনি তানজিদ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ভারতের দলীয় রান তখন ১৫৬। পরের বলেই উইকেটে নামা সিদ্ধেস ভিরকে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়ে দেন শরিফুল।

উইকেট পড়ার নিয়মিত বিরতি চলতে শুরু করে এরপর। ১৬৮ রানের মাথায় রানআউটের শিকার হলেন ধ্রুব জুরেল। ৩৮ বলে জুরেল করেন ২২ রান। শুধু জুরেলই নন, পরপর দুই ওভারে দু’জন হলেন রানআউট। রবি বিষণিও রান আউট হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। ৬ বলে তিনি করেন ২ রান।

পরপর দুই রানআউটে ভারতকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। রাকিবুল হাসান এবং শরিফুল ইসলামের দুই ওভারে রানআউট হয়ে ফিরে যান ধ্রুব জুরেল এবং রবি বিষনি। এরপর অভিষেক দাতের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে গেলেন অথর্ব অঙ্কলেকর।

পরপর দুই রানআউটের পর বোল্ড হয়ে গেলেন অঙ্কলেকর। অভিষেক দাসের বলে স্ট্যাম্প উড়ে যায় লেট অর্ডারে ভারতের এই ব্যাটসম্যানের। অভিষেকের বলে কোনো রান না করেই ফিরে যান কার্তিক তেয়াগিও। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন সুশান্ত মিশ্র। উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব।

এর আগে পচেফস্ট্রুমে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ। সকালের সেশনের ময়েশ্চার কাজে লাগিয়ে বোলিংয়ের শুরুটা দুর্দান্ত করে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভার মেইডেন করেন শরীফুল ও সাকিব। ইনিংসের ১৪তম বলে প্রথম রান করতে পারে ভারত।

তবে সাকিবের বোলিংয়ের কোনো জবাবই ছিলো না ভারতের দুই ওপেনারের কাছে। তার করা প্রথম ২১টি ডেলিভারিতে ব্যাট থেকে কোনো রান করতে পারেনি ভারত। নিজের চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে একটি বাউন্ডারি হজম করেন সাকিব। ৪ ওভারে তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৪-২-৭-০।

অন্যপ্রান্তে তিন ওভার বোলিং করার পর শরীফুলের জায়গায় আক্রমণে আনা হয় আজকের ম্যাচেই একাদশে সুযোগ পাওয়া অভিষেক দাসকে। তিনি নিজের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই এনে দেন কাঙ্ক্ষিত সাফল্য, আউট করেন সাক্সেনাকে।

তবে এ উইকেটের কৃতিত্ব দিতে হবে শরীফুল ও সাকিবকেও। কেননা তাদের প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ৮ রান আসায়, অভিষেককে পেয়েই ব্যাট চালাতে গিয়েছিলেন সাক্সেনা। যা তাকে পাঠিয়ে দিয়েছে সাজঘরে।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft