
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আপনি ভোট কারচুপির এমনই মেকানিজম করেছিলেন যে আপনি নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
তিনি বলেন, আপনার সুস্থতা কামনা করি, কিন্তু জালিয়াতির মেশিন ইভিএম দিয়ে ভোটারদের যেভাবে সর্ষে ফুল দেখিয়েছেন সেজন্য আপনাকে নিয়ে ভোটাররা কী ভাবছেন সেটি একটু বোঝার চেষ্টা করবেন। বারবার অসুস্থ হওয়ার পরেও আপনি মিথ্যার ফেরিওয়ালাই থেকে যাচ্ছেন। সৃষ্টিকর্তার কথা বিবেচনা করে কমপক্ষে কিছুটা সত্য কথা বলার চেষ্টা করুন।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপেদষ্টা আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মো. মাইনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, কয়েকদিন আগে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেছেন তিনি বিশ্বের এক নম্বর অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীর এই কথা চিরকুটে লিখে রাখলাম। হাসতে হাসতে হার্টফেল করলে অর্থমন্ত্রী দায়ী থাকবেন। এই বক্তব্য অজ্ঞাতপ্রসূত নয়, রাজনৈতিক ধান্দাবাজপ্রসূত। অর্থমন্ত্রী এই বক্তব্যের পরের দিনই আবার বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। মূলত স্বস্বীকৃত এক নম্বর অর্থমন্ত্রী দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়েছেন।
দেশের মানুষ নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমা করবে না উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের অঘোষিত নেতা সিইসি নুরুল হুদার অধীনে এ পর্যন্ত যতোগুলো নির্বাচন হয়েছে সেগুলোতে শুধু একতরফা, ভোট লুট, রাতের আঁধারে নৌকা মার্কায় সিল মারার উৎসব হয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নামে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের বিজয় দেখানো হয়েছে। এই সরকার বাদে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও নগরবাসী এই কারচুপির ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলাফল বাতিল করে নতুন নির্বাচনের যৌক্তিক দাবি তুলে ধরেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় বিনা অপরাধে দুই বছরের বেশি হলো কারাবন্দি রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। তাকে জেলের ভেতর হত্যার চেষ্টা চলছে। ৭৫ বছর বয়সী দেশনেত্রীর অবস্থা চরম খারাপ। এখনি মুক্তি দিয়ে দ্রুত উন্নত সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে আমরা তার জীবনহানির আশঙ্কা করছি।