
ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহর জ্ঞাত আয় চাঁদা আদায়সহ নামে বেনামে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দুদকের জনসংযোগ বিভাগ।
আজ সোমবার অভিযুক্ত ও তার পরিবারের ব্যক্তিগত গাড়ির তথ্য জানতে চেয়ে ফেনী বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর কাছে দুদকের উপ-পরিচালক নূরুল হুদা স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার নীচপনুয়া গ্রামের বাসিন্দা খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ১৯৮৪ সালে গুলিস্তান-মিরপুর রোডে একটি মিনিবাস দুজনে পার্টনারে কিনে পরিবহন ব্যবসা শুরু করেন।
১৯৯২ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এনায়েত উল্লাহর উত্থান শুরু হয়। তৎকালীন ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র মির্জা আব্বাস ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি হলে এনায়েত উল্লাহ সেক্রেটারি হন।
১৯৯৬ সালে আ.লীগ ক্ষমতায় এলে দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে আঁতাত করে স্বপদে বহাল থাকেন। মাঝে আবার বিএনপির সঙ্গে ছিলেন। সবশেষ ২০০৮ সালে আ.লীগ ক্ষমতায় এলে আবার দলে ঢুকে পড়েন তিনি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে রাজধানীর আশপাশে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ১৫ হাজার বাস থেকে দৈনিক ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়সহ নামে বেনামে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। অনুসন্ধানের স্বার্থে এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের ব্যক্তিগত গাড়ির তথ্য জানতে চায় কমিশন।এদিকে বাস মালিকদের তথ্যমতে, সকালে বাস বের হলেই ঢাকা মালিক সমিতি ও বিভিন্ন রুটের মালিক সমিতিকে (গেট পাস-জিপি) হিসেবে প্রতি গাড়ি বাবদ ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা দিতে হয়। এই চাঁদা না দিলে রাস্তায় বাস চলতে দেয়া হয় না।