
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে দুদু বলেছেন, মানুষের ভোটটা নিশ্চিত করেন। এটা দেশের জন্য আওয়ামী লীগের জন্য বিএনপির জন্য, সকলের জন্য ভালো হবে। সবাই যদি আপনাকে ভোট দেয় তাহলে কারো আপত্তি নাই। কিন্তু আপনার আপত্তি বিএনপিকে যদি মানুষ ভোট দেয়।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দল আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দলের সভাপতি মো. জনি হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. মহসীন হাবিব এর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এই সরকার প্রতিনিয়ত বেগম খালেদা জিয়া, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের পরিবার ও বিএনপিকে ছোট করার জন্য যা যা বলার সেটা তারা প্রতিনিয়ত বলে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যে দুই কোটি টাকার জন্য বেগম জিয়াকে জেলে রাখা হয়েছে, একবারও কোর্ট জানতে চায়নি সেই টাকা বেড়ে কি ভাবে আট কোটি টাকা হয়েছে। এটা কোর্ট জানতে চায়নি তার মানে কোর্ট যদি জানে ২ কোটি টাকা আট কোটি টাকা হয়েছে, তাহলে তো বেগম জিয়াকে রাখা যাবে না। যে যুক্তিগুলো বেগম জিয়ার পক্ষে যায় সেই যুক্তিগুলো কোর্টে আনে নি। কোর্ট কোনটা বিবেচনা নিবে কোনটা নেবে না তার থেকেও বড় কথা যদি কোর্ট ন্যায়ের পক্ষে থাকে তাহলে সেই বিচারকের অবস্থা ভালো যাবে না।
দুদু বলেন, কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থার জন্য আমাদের আজকের প্রধানমন্ত্রী এমন কোন কাজ নেই যে করেন নাই। কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আন্দোলন করেছিল আর আমরা সংসদে সেই আইন পাস করেছিলাম।বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়েছে, দু’লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম হারিয়েছে। তারপরও আমরা দেখছি স্বাধীনতা নামক জিনিসটি আমাদের নিকট ধরা দেয়নি। গণতন্ত্র নামক জিনিসটা আমরা কখনো পেয়েছি কখনো পায়নি। তিনি বলেন, মানুষ ভোট দিতে পারে না এটা প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিও জানেন এটা নির্বাচন কমিশনারও জানেন এটা আল্লাহও জানেন।