
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান জানিয়েছেন, পুলিশ-র্যাবকে ব্যারাকে রেখে রাজপথে আসেন। আওয়ামী লীগ আন্দোলন করতে জানে, নাকি বিএনপি জানে সেটা আমরা কার্যক্ষেত্রে দেখিয়ে দেব।
তিনি বলেন, বিগত ১২ বছরে বিরোধী দলের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এক লাখ এক হাজার মামলা দেয়া হয়েছে। অথচ সরকার মশকরা করে বলে, বিএনপির আন্দোলন করতে জানে না।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘অন্তরে মম শহীদ জিয়া’ নামে সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, কৃষক দলের সদস্য লায়ন মো. আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
মঈন খান বলেন, জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের ইতিহাস দেখুন। তারা চিরদিন একই নীতিতে চলছে। তারা মানুষকে ভয় দেখিয়ে, মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে অত্যাচার করেছে। আমি সেই ইতিহাস পুনর্ব্যক্ত করতে চাই না। আপনারা নিজেরাই দেখেছেন, ২০০৬ সালে কীভাবে লগি-বৈঠা দিয়ে রাস্তায় মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। বিএনপি সেই নির্যাতন-অত্যাচার বিশ্বাস করে না। আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক ও উদারনৈতিক একটি রাজনৈতিক দল। আমরা গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারে বিশ্বাসী।
মঈন খান বলেন, গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকা যায়, সেটা আমরা স্বীকার করছি। পৃথিবীর ইতিহাসে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতা দখল করেছিল, কিন্তু তারা কোনো সময় চিরদিন টিকে থাকতে পারেনি। এটাই হচ্ছে প্রাকৃতিক সত্য এবং প্রকৃত ইতিহাস।
তিনি বলেন, আজকে আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের গণতন্ত্রের পূজারি আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনব। তাকে মুক্ত করে এনে তার নেতৃত্বে পুনরায় এ দেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনব ইনশাআল্লাহ। প্রশাসন দিয়ে ক্ষমতায় থাকা যায়, কিন্তু মানুষের অন্তরে কোনো দিন স্থান পাওয়া যায় না। হুমকি-ধমকি দিয়ে মানুষকে ভয় দেখানো যায়, কিন্তু কোনো দিন মানুষের মন জয় করা যায় না।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, ভোটের মাধ্যমে এ দেশের মানুষের ভাগ্য ও দেশের ক্ষমতার পদ পরিবর্তন করতে হবে। এটা আমরা বলি এবং করি। সেই বিশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ে আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এ দেশের পরিবর্তন চাই।