
জয় বাংলার শ্লোগান দেশের বড় সম্পদ। জয় বাংলার শ্লোগান দিয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় যে দুইজন এমপি হয়েছিল আজ তারা নেই। এই উপজেলা একটি জামায়াত অধ্যুাষিত এলাকা। ঘোড়া মারা আজিজ এই উপজেলার অনেক নেতাকর্মীকে মেরে ফেলেছে। অপসংস্কৃতির আড়াল থেকে এই উপজেলাকে মুক্ত করতে হবে। সে জন্য সাংস্কৃতিক ও কালচারাল অনুষ্ঠান বেশি বেশি করতে হবে। আয়োজক কমিটির অব্যবস্থাপনার কারণে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ না করায় জয় বাংলার শ্লোগান শোনা যায়নি। সে কারণে প্রতিমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধর্মপুর ডিডিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি একেএম কামরুল হুদা রাজু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদ হোসেন মন্ডল, উপজেলা আ’লীগ যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল আলম রেজা, শ্রীপুর ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি দেওয়ান মঞ্জু মিয়া প্রমূখ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রয়াত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন ও গোলাম মোস্তফা আহমেদ দীর্ঘদিন রাজনীতি করে এই উপজেলাকে সু-সংগঠিত করেছিল। কিন্তু তারা অল্প সময়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তিনি এই উপজেলায় একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, কালচারাল সেন্টার, ১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংস্কৃতিক উপকরণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। এছাড়া নদী ভাঙন রোধ ও হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দাবি জানানোর প্রতিশ্রুতি দেন। পরে স্কুলের পক্ষ হতে শিক্ষাথীদের একটি করে ক্রেস্ট ও এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দারের পক্ষ হতে প্রত্যেককে ২ হাজার করে টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়। বিদ্যালয়ের ১৯ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।