
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি বটে কিন্তু খাদ্যটা নিরাপদ কি না, সেটাই বিবেচ্য বিষয়। আজকে পেট ভরে ভাত খাওয়ার মত অবস্থান হয়েছে। সে পরিমাণ খাদ্যশস্য আমাদের মজুদ রয়েছে। কিন্তু আমরা নিরাপদ খাদ্য খেতে পারছি কি না সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এবারের খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সবাই মিলে হাত মেলাই, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত চাই’।
খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন খাদ্যে ভেজাল প্রদান ও মজুদকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তখন তিনি বলেছিলেন এদের বিশেষ আইনে বিচার হবে। এরপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবদিক লক্ষ্য রেখে খাদ্য নিরাপদ আইন করেছেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় মিলে প্রায় ৮৭টি ইউনিট নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করে। এরপরও প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ তৈরি করেছেন। যদিও বর্তমানে কর্তৃপক্ষের জনবল খুব কম। ইতোমধ্যেই আমরা লোক নিয়োগ দিয়েছি। আগামীতে প্রত্যেক জেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অফিস করে এটাকে আরও জোরদার করব। একইসঙ্গে আইনের বাস্তবায়ন জোরদার করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, শুধু নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ একা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারবে না। এ জন্য দেশের প্রতিটি মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। নিরাপদ খাদ্য ইস্যুটিকে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে নিয়ে সবাইকে এটি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সংজ্ঞা অনুযায়ী নিরাপদ খাদ্য হচ্ছে খাদ্যের পর্যাপ্ততা থাকতে হবে, এ খাদ্য সবার কেনার অধিকার থাকতে হবে, খাদ্যটা ভেজালমুক্ত হতে হবে এবং এর স্থিতিশীলতা থাকতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে দেশের সব মানুষকে ভাবতে হবে যে আমরা নিরাপদ খাদ্য খাবো এবং নিজেকে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করব।