1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন
৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল ইউএনও’র নেতৃত্বে রাষ্ট্র্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন পলাশবাড়ী পৌরশহরের আমবাড়ীতে পৌর যুবদলের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ীতে উপজেলার নাগরিক সংগঠনের ত্রৈমাসিক সভা হাসিনার ফাঁসির রা‌য়ে তারাগঞ্জে ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১: শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড, মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড তারাগঞ্জে নবীনবরণ, বিদায় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পলাশবাড়ীর কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে “ভুয়া দরপত্রের মাধ্যমে গাছ বিক্রি” শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা বদলী : নতুন পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম ফুলছড়িতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে দুইজন আটক পোশাকের রং বদলায়, কিন্তু বদলায় কি পুলিশের আচরণ?

অপারেশন থিয়েটারে রোগী রেখে সটকে পড়লেন ডাক্তার

  • আপডেট হয়েছে : বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার দক্ষিণ হিঙ্গাজিয়ার মনছুব মিয়া (৪২) মধ্যপ্রাচ্যর কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। পরে ডান পায়ের গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার করে পাত বসিয়ে দিয়েছিলেন সে দেশের চিকিৎসকরা। পাঁচ মাস পর দেশে ফিরে সেই পাত খুলতে সিলেটের অর্থোপেডিক্স সার্জন ডা. সুমন মল্লিকের কাছে যান তিনি। ডাক্তারের পরামর্শে তাকে নগরীর মিরবক্সটুলাস্থ ‘সিলেট ট্রমা সেন্টারে’ ভর্তি করা হয়।

মনছুব মিয়ার ভাতিজা মোজাহিদ আহমদ জানান, অস্ত্রোপচারের আগে ডা. সুমন মল্লিক কয়েকটি পরীক্ষা করান। পরীক্ষা করেই তিনি এরকম অস্ত্রোপচার খুবই সাধারণ বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। অস্ত্রোপচার করে পা থেকে পাত অপারেশনের জন্য ডাক্তারের সঙ্গে ৩২ হাজার টাকার চুক্তিও হয়। রাত দেড়টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয় মনছুব মিয়াকে। প্রায় আধাঘণ্টা পর ট্রমা সেন্টারের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ডা. সুমন মল্লিকের বরাত দিয়ে রোগীর স্বজনদের জানান, অপারেশন ‘সাকসেসফুল’ হয়েছে।

এ সময় তাদের ২০ হাজার টাকা জমা দিতে বলেন। বাকি টাকা রোগী নিয়ে যাওয়ার সময় দিতে হবে। কথা মতো স্বজনরা ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। এর কিছুক্ষণ পর ডা. সুমন মল্লিক অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে জানান, অপারেশন ‘সাকসেস’ হয়নি। পাতের মধ্যে যে স্ক্রু মারা সেটা খোলার মতো কোন যন্ত্রপাতি তার কাছে নেই। এমনকি এই পাত বাংলাদেশের কোন ডাক্তারই খুলতে পারবে না বলেও জানান তিনি। পাত খোলার জন্য রোগীকে কাতার নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এরপর জমাকৃত ২০ হাজার টাকার মধ্যে ৮ হাজার টাকা রোগীর স্বজনদের ফেরত দেবার নির্দেশ দিয়ে হাসপাতাল থেকে সটকে পড়েন এই সার্জন।

চিকিৎসকের কাছ থেকে এমন কথা শুনে হতভম্ব হয়ে পড়েন রোগীর স্বজনরা। ট্রমা সেন্টার কর্তৃপক্ষও ২০ হাজারের মধ্যে ৮ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে রোগীকে বাড়িতে নিয়ে যেতে স্বজনদের চাপ দেন। প্রথমে রেগীর স্বজনদের ৮ হাজার টাকা দিয়ে বাকি ১২ হাজার টাকা সর্ভিস চার্জ বলে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে তোপের মুখে পুরো টাকা ফেরত দেয় কর্তৃপক্ষ।

ডা. সুমন মল্লিক এমন ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, ‘সব অপারেশন সাকসেসফুল হয় না। যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। অর্ধেক অপারেশনের পর দেখা যায় মনছুর মিয়ার পায়ে যে পাত লাগালো সেটি খোলার মতো ইকুপমেন্ট নেই।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই হাসপাতালের কোনো অনুমোদনই নেই। নেই পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র। নিয়ম অনুযায়ী আবাসিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বা সার্জন থাকার কথা থাকলেও সেটিও নেই হাসপাতালে। শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই চলছে কার্যক্রম।

হাসপাতালটির সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়নাল আবেদীন জানান, আমাদের ট্রেড লাইসেন্স আছে, হাসপাতালের অনুমোদনের জন্য সিভিল সার্জনের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সিলেট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (স্বাস্থ্য) দেবপদ রায় জানান, ‘আমরা অচিরেই এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব। কোনো অবস্থাতেই অনুমোদন ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো যাবে না।’

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft