
অবশেষে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চাঞ্চল্যকর উত্তম হত্যাকান্ডের আলামত হিসেবে পুকুর হতে ৪টি দেশিও অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানী (১৪) এবং তার প্রেমিক প্রতিবেশী সম্ভু চন্দ্র সরকারের ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র স্বদেশ চন্দ্র সরকারকে (১৪) আটক করেছে। হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধী উত্তমের স্ত্রী ললিতার রানী দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ বুধবার দিবাগত রাত ৪ টার সময় স্বদেশ চন্দ্রকে গ্রেফতার করে। হত্যাকান্ডের আলামত উদ্ধারের স্বার্থে পুলিশ আসামী গ্রেফতারের বিষয়টি গোপন করেছিলেন। স্বদেশের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ বৃহস্পতিবার সকাল হতে উত্তমের বাড়ির পিছনের পুকুরের পানি স্যালোমেশিন দিয়ে সেঁকে সন্ধ্যা ৬ টারদিকে পুকুর থেকে দেশিও অস্ত্র একটি কুড়াল, ২টি ছোট চাকু এবং ১টি বেকি উদ্ধার করে। জানা গেছে, হত্যাকান্ডের দিন উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানীর পরিকল্পনা মোতাবেক তার প্রেমিক স্বদেশ চন্দ্রকে সাথে নিয়ে হত্যাকান্ডটি সংঘটিত করে।
থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান জানান, প্রেম ঘটিত কারণে হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর হত্যাকান্ডের রহস্য বের হয়ে আসে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৬টার সময় পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ডের তাঁতীপাড়া মহল্লার রাজমিস্ত্রী উত্তম কুমার দেবনাথকে (৩০) তার নিজ শয়ন ঘরে হত্যা করে পালিয়ে যায় হত্যাকারী। উত্তম ওই মহল্লার নিবারণ চন্দ্রের ছেলে। মাত্র বছর খানেক আগে প্রতিবেশী সুকুল চন্দ্রের কন্যা ললিতা রানীর সাথে উত্তমের বিয়ে হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারী রোববার দিবাগত রাত ৯টার সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব (রংপুর বিভাগ) ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী উত্তম কুমার দেবনাথের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে থানা পুলিশকে অল্প সময়ের মধ্যে প্রকৃত অপরাধিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সকল অপরাধীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশকে সহায়তা করার আহবান জানান। তিনি বলেন আমার বিশ্বাস প্রকৃত অপরাধি অবশ্যই শাস্তি পাবে। সেই ধারাবাহিকতায় পুলিশ আসামী আটকসহ ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার হত্যাকান্ডের আলামত উদ্ধার করে ।