
জাতীয় ঐক্য আহ্বায়ক ডঃ কামাল হোসেন সবকিছুতেই সংবিধান নিয়ে আসেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টানা তৃতীয় মেয়াদে আ.লীগ সরকারের ক্ষমতায় আসার বছর পূর্তিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন
তিনি বলেন, জামিন না হলে সংবিধান লংঘন আরো কিসে সংবিধান লংঘন বলবেন ভবিষ্যতে জানি না। তিনি সবকিছুতেই সংবিধান টেনে আনেন। বেগম খালেদা জিয়ার জামিন দেয়ার এখতিয়ার তো আদালতের, সরকারের নয়। ড. কামাল হোসেন কি তাহলে কি আদালতকেই অভিযুক্ত করছেন? সেটাই আমার প্রশ্ন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে সবসময় অপরাজনীতি হয়ে আসছে। আমি একটু আগেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় খবর নিয়েছি। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপিতে যেসব অভিযোগ করছে সেসব বিষয়ে তাদের কাছে জেনেছি। তারা যেটা আমাকে জানিয়েছেন, বিএনপি যেভাবে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে পত্রপত্রিকা বা মিডিয়ার সামনে বলছে বাস্তবে সেটা নয়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া একজন বয়স্ক মানুষ। এ কারণে তার বয়সজনিত কিছু সমস্যা রয়েছে। কিছু প্রবলেম তার দীর্ঘদিনের, সেগুলো বাড়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব মেডিকেলের চিকিৎসকরা প্রতিদিনই তার চেকআপ করছেন স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিচ্ছেন। তারা জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে সর্বোচ্চ মেধা দিয়ে তার স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার চেষ্টা করছেন।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করছেন বিএনপি নেতারা- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আ.লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি তো সবসময় প্রযুক্তির বিরোধিতা করে। আপনারা জানেন ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া যখন সরকার গঠন করেছেন, তখন বাংলাদেশকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের, বাংলাদেশের তথ্য পাচার হয়ে যাবে সেই কথা বলে তিনি (খালেদা জিয়া) সাবমেরিন স্থাপন করার অনুমতি দেননি। যেটি পরবর্তী সময়ে হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করে আমাদের স্থাপন করতে হয়েছে।’
‘পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ইভিএমে ভোট হচ্ছে, সেই নিয়ে মোটামুটি সব পক্ষ সন্তুষ্ট। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইভিএমে ভোট হয় সেখানে ইভিএমের বিরোধিতা তারা কেন করছেন, এটির কোন সদুত্তর আমি খুঁজে পাচ্ছি না। একটি সদুত্তর পাই আমি সেটি হচ্ছে তারা যে অতীত থেকে প্রযুক্তির বিরোধিতা করে আসছে, সেটির ধারাবাহিকতা হচ্ছে ইভিএমের ভোটগ্রহণের বিরোধিতা করা। ব্যালটে ভোট হলেও তারা নানা অভিযোগ উপস্থাপন করেন। মূল কথা হচ্ছে, তারা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তারা বুঝতে পেরেছে জনগণ তাদের সঙ্গে নেই।’
সরকারের মন্ত্রী আবার দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দুই ক্ষেত্রে সমন্বয় করতে গিয়ে কোন চাপ অনুভব করেন কি না- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা যে সরকারে আছি সেটা হচ্ছে দলের সরকার। বাংলাদেশ আ.লীগের সরকার। সরকার ও দলের মধ্যে সমন্বয় থাকা প্রয়োজন সেই কাজটি আমি দুই দায়িত্বে থাকার কারণে আমার পক্ষে করা সহজ হচ্ছে।’পরাজয়ে আশঙ্কা থেকে বিএনপি নানা অভিযোগের বাক্স এখন থেকেই খুলে বসেছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাতে তারা নির্বাচনের আগে- নাচতে না জানলে উঠান যেমন বাঁকা বলা হয়, ঠিক সেই ধরনের একটি বক্তব্য তারা হাজির করতে পারেন, সেজন্যই তারা এই অভিযোগগুলো উপস্থাপন করছেন।’