
ঢাকার খিলক্ষেত থানার ডুমনি কালিমন্দির আহবপাড়ায় ৩০০ ফিট সড়কে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হাতিরঝিল থানার পুলিশ অভিযানে গেলে ওই গোলাগুলি হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ। নিহতরা হলেন, নাজমুল ও মোটা শাহীন।
পুলিশের দাবি, নিহতরা ছিনতাইকারী দলের সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজি ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মাসুদুর রহমান জানান, নিহত দুজনই ছিনতাইসহ চারটি খুনের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তাদের নামে একটি মামলা হাতিরঝিল থানায়, দুটি মামলা খিলক্ষেত থানায় এবং একটি মামলা ভাটারা থানায় তদন্তাধীন আছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের ধরতে অভিযানে নামে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। খিলক্ষেত থানাধীন ৩০০ ফিট সড়ক এলাকায় যাবার পর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের ওপর গুলি বর্ষণ করেন তারা। পরে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে ওই দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদের ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, নিহত নাজমুল ও মোটা শাহীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ছিনতাইয়ের পাশাপাশি ছিনতাই কাজ করতে গিয়ে মানুষ খুন করতেন। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরে পুলিশে পাঁচটি মামলা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ফ্লাইওভারে ছিনতাই ও ছিনতাই কাজ করতে গিয়ে তারা কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটায়। সেই চক্রের কয়েকজনকে গ্রেফতারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এবং তাদের বক্তব্যে উঠে আসে যে, তারা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। চক্রটি ‘গামছা পার্টি’ নামে পরিচিত। তাদের বক্তব্যে এই নাজমুল ও মোটা শাহীনের নাম উঠে আসে।’
‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল যে, তারা সিএনজি ব্যবহারে ছিনতাই কাজ করছে। এরপর গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে জীবন নামে একজনকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়।’
‘জীবন জানায়, ওই সিএনজি দিয়ে তাদের এই দুজন সহযোগী ৩০০ ফিট এলাকায় ছিনতাই কাজে বেরিয়েছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের হাতিরঝিল থানা পুলিশের একটি টহল টিম সেখানে চেকপোস্ট বাসায়। সেখানে চেকপোস্ট চলাকালে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে পিস্তল থেকে গুলি ছোড়ে। তখন পুলিশও গুলি ছোড়ে। এতে ওই দুজন নিহত হয়।’