
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের গ্রেফতারি পরোয়ানা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ নয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আর এটির সাথে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই।
আজ রোববার দিল্লি সফর শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মোহাম্মদপুর রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ, তাই আদালতে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আদালত একটি স্বাধীন বিষয় তারা বিচারকার্য পরিচালনার জন্য এ ধরণের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। সেটি গণমাধ্যমে বলার জন্য তো এই মামলা হয়নি।
তিনি বলেন, তবে কোন অবহেলাজনিত মৃত্যু হওয়ার পর সেটা যদি লুকানোর অপচেষ্টা করা হয় বা একই সাথে পোস্টমর্টেম ছাড়া তা যদি দাফন করা হয়, এগুলো তো নিশ্চয়ই অপরাধ। প্রথমত অবহেলাজনিত মৃত্যু সেটি ইনভেস্টিকেশন পর্যায়ে আছে। এরপর সেটিকে লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর এর বিরুদ্ধে দেশের ৪৭জন বিশিষ্টজনের বিবৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন আমাদের দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। বাংলাদেশের ৪৭ জন বিশিষ্টজন যে বিবৃতি দিয়েছে এটা বড় কোনো বিষয় নয়। বাংলাদেশের এই ৪৭ জন ছাড়াও আরও হাজার হাজার বিশিষ্টজন রয়েছে। তারা তাদের বিবৃতি দিতেই পারে। তবে কোনো অবহেলাজনিত মৃত্যু হওয়ার পর সেটা যদি লুকানোর অপচেষ্টা করা হয় বা একই সঙ্গে পোস্টমর্টেম ছাড়া তা যদি দাফন করা হয়, এগুলোতো নিশ্চয়ই অপরাধ।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রথমত অবহেলাজনিত মৃত্যু সেটি ইনভেস্টিগেশন পর্যায়ে আছে। এরপর সেটিকে লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের আয়োজক যারা ছিল, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। অভিযোগ সত্য মিথ্যা সেটি ভিন্ন বিষয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আছে আর যারা দায়ী তাদের যাতে সঠিক বিচার হয় সেজন্য আমি আশা করি এই ৪৭ জন বিশিষ্টজন আরেকটি বিবৃতি দেবেন।