
সীমান্তরক্ষা বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বলেছেন, ফেরত আসা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক, যারা বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন; এদের ফেরত আসার সঙ্গে ভারতের নাগরিকপঞ্জি বা নাগরিকত্ব আইনের কোনো সম্পর্ক নেই।
সম্প্রতি বিজিবি-বিএসফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকের বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার পিলখানায় বাহিনীর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদায়ী বছরে মোট কতজন অনুপ্রেবশকারী আটক হয়েছে জানতে চাইলে বিজিবি প্রধান বলেন, কোনো অনুপ্রবেশকারীকে ঢুকতে দেওয়া হয়না, আমরা দিই না।
বিজিবি প্রধানের দাবি, বিদায়ী বছরে ভারত থেকে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে আসা হাজারখানেক নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এমন অনেক গ্রাম আছে, যেখানকার মানুষের একটা ঘর বাংলাদেশের ভেতর, অন্য ঘর ভারতে। নানা রকম উৎসবে এক পরিবার অন্য পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চায়। সদ্য শেষ হওয়া ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বিজিবির উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা পাসপোর্ট ছাড়া শুধু লিখিত রেখে ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টার জন্য সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষদের চলাচল করার অনুমোদন দিতে পারি’।’
তিনি বলেন, গত এক বছরে তিনজন পাচারকারীসহ প্রায় এক হাজার জনকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজ-খবর নিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পর তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তারা সবাই বাংলাদেশি এবং অধিকাংশই ভারতে কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন।
ভারতে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন হওয়ার পর নভেম্বর-ডিসেম্বর দুই মাসে ৪৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে এসেছেন বলে জানিয়েছেন ।
উল্লেখ্য, গত ২৫-৩০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ের এই বৈঠক হয়। মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে এনআরসি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি।