
গত ২০ জানুয়ারি চাইনিজ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যসমূহের গুণগত মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ের। ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক, কৃষিপণ্য, খাদ্য সামগ্রী ইত্যাদি রপ্তানি হয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ’।
সভায় কেদাহ চাইনিজ চেম্বারের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট অং সেইক চি অং চেম্বারের কার্যাবলী, মালয়েশিয়ার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে আলোচনা করেন। তিনি কেদাহ রাজ্যের শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ফ্যাক্টরিতে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের দক্ষ ও উৎপাদনশীল বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে এসব শ্রমিকদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। একইদিন সন্ধ্যায় হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী একটি ট্রেড ও কালচারাল শো আয়োজনের জন্য পেনাংয়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। তারা অনুষ্ঠান আয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে হাইকমিশনারকে আশ্বাস দেন রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
তিনি আরও বলেন, কেদাহ রাজ্যে বিদেশি শ্রমিকদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তিনি হাইকমিশনারকে দ্রুততার সাথে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক আনতে অনুরোধ করেন। তিনি এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারকেও অনুরোধ করবেন বলে জানান।
কেদাহ চাইনিজ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সেক্রেটারি জেনারেল তাই লী পিন বাংলাদেশ থেকে সুগন্ধী চাল ও শাক সবজি আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ সময় চাইনিজ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবসায়ী নেতারা, নির্বাহী কমিটির সদস্য, চাইনিজ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় হাইকমিশনারের সাথে পেনাংয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারি কনসাল জেনারেল দাতো শেখ ইসমাইল, দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মো. রাজিবুল আহসান, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রুহুল আমিন এবং দ্বিতীয় সচিব (শ্রম) ফরিদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া চেম্বারের পক্ষে প্রেসিডেন্ট, ডেপুটি প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি জেনারেলসহ চেম্বারের নির্বাহী কমিটির সদস্য, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।