
গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় জানার জন্য পরীক্ষা এবং লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।
আজ রোববার অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।
আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষ ছেলে সন্তান কামনা করেন। তাদের ধারণা, ছেলে সন্তান বংশের ধারক এবং আয় করে থাকে। অনেক নারীও এটা মনে করেন। তারা ভাবেন, ছেলে সন্তান ভবিষ্যতে সুরক্ষা দেবে। পরীক্ষার মাধ্যমে যদি জানা যায়, গর্ভের শিশুটি মেয়ে সন্তান; এতে গর্ভবতী মায়ের মানসিক ও শারীরিক অবস্থার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি গর্ভের শিশুটির সঙ্গে ‘খারাপ’ কিছু ঘটতে পারে।
তিনি বলেন, মা যদি হতাশায় ভোগেন তাহলে বাচ্চার মস্তিষ্কের গঠন/বিকাশ ঠিকভাবে হয় না। চীন-ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গর্ভে থাকা সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গর্ভের শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধ হওয়া জরুরি।
এ সপ্তাহেই হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ১ ডিসেম্বর গর্ভবতী মা ও অনাগত সন্তানের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় জানার জন্য পরীক্ষা এবং লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। স্বাস্থ্য সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সমাজকল্যাণ সচিবকে এ নোটিশ পাঠান আইনজীবী ইশরাত।
নোটিশে তিন দিনের মধ্যে সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিককে গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় জানার জন্য পরীক্ষা এবং লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধ করতে নির্দেশনা জারি করতে বলা হয়।