
৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় পলাতক সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাসহ ১১ জনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। ২০ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি (মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি) গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।
পলাতক ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল হওয়ায় আইনুযায়ী পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য এ নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে ৫ জানুয়ারি সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেয়া চার্জশিট আমলে নিয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত ১০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। এর আগে ৪ ডিসেম্বর কমিশনের সভায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) অনুমোদন দেয়া হয়।
এ মামলা থেকে মৃত হিসেবে প্রমাণ মেলায় চার্জশিট থেকে এক আসামির নাম বাদ দেয়া হয়েছে। নতুন করে একজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকায় মামলাটি করা হয়। দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন এ মামলার বাদী। ফারমার্স ব্যাংকের দুটি হিসাব থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতির ‘প্রমাণ’ পাওয়ার তথ্য গত বছরের অক্টোবরে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।