
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, দালাল আইনে রাজাকারদের যে তালিকা ছিল, তা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে অনেকের নামের পাশে নোট ছিল, কারো নামে মামলা ছিল, সে বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই না করেই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এজন্যই এমন অসঙ্গতি।
আজ দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগ আয়োজিত দুর্নীতি, মাদক ও মজুদদারের বিরুদ্ধে অভিযানে কৃষক লীগের একাত্মতা শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনা সভায় কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ।
আরো নিবিড়ভাবে যাচাই-বাছাই করে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করতে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অপরদিকে রাজাকারদের তালিকায় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার নাম আসার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই ঘটনার দায় নিজের কাঁধে নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে রাজাকারদের যেই তালিকা পেয়েছি, সেটাই প্রকাশ করেছি। এটা আমরা তৈরি করি নি। জাতি এই তালিকা চেয়েছে, আমরা শুধু প্রকাশ করেছি মাত্র।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার পুরো দায় আমি নিজের কাঁধে নিচ্ছি। এবং এর জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। বেশ কয়েকটি অভিযোগ ইতোমধ্যে আমাদের হাতে এসেছে। অভিযোগের পরিমাণ বেশি হলে তালিকা প্রত্যাহার করা হবে। এরপর তদন্ত করে আবার যখন নতুন করে তালিকা ছাপাবো, অবশ্যই দুঃখ প্রকাশ করে ছাপাবো।