
জাসদের একাংশের নেতা মউনুদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে খালি হওয়া ভোটের হাওয়া বইছে। ১৩ জানুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ- নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সংসদে থাকা বিএনপি এই নির্বাচন নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় নি। তবে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে বিএনপি ভোটে অংশ নিবে। তবে প্রার্থী কে হবে তা এখনো চূড়ান্ত নয়।
জাতীয় নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই ভোটে ইতিবাচক দলটি। জাতীয় সংসদে নিজেদের প্রতিনিধির সংখ্যা বাড়াতে ইতিবাচক বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এ চিন্তা থেকেই বগুড়া-৬ আসনে জিএম সিরাজকেই মনোনীত করা হয় এবং তিনি বিজয়ী হন। রংপুর সদরে অংশ নিলেও হেরেছে দলটি। তবে একই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম-৮ আসনে দলের প্রভাবশালী এবং রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ কাউকে মনোনয়ন দিতে চায় বিএনপি
শহরের বোয়ালখালী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও বায়েজিদের আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত এই আসনের উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বিএনপি। তবে প্রার্থী কে হবেন, এ নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটিতে কোনও আলোচনা হয়নি। গঠনতান্ত্রিকভাবে দলটির স্থায়ী কমিটিই মনোনয়ন বোর্ডের দায়িত্ব পালন করে। শেষ মুহুর্তে এসে এই ভোটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, দলের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে এখনও আলোচনা হয়নি। তবে তফসিল ঘোষণা হওয়ায় দুই-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়টি সুরাহা করা হতে পারে।
দলের দায়িত্বশীল একটি পক্ষ জানায়, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে প্রার্থিতা করেছেন নগর বিএনপির নেতা আবু সুফিয়ান। তবে আবদুল্লাহ আল নোমানের বিষয়ে হাইকমান্ড ইতিবাচক হলে তাকে সরে দাঁড়াতে হতে পারে।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মনোনয়নের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ হিসেবে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানকে প্রার্থী হিসেবে চিন্তা করতে পারেন দলের হাইকমান্ড। ২০১৬ সালে স্থায়ী কমিটিতে মনোনীত হওয়ার মধ্যে যারা আলোচনায় ছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। এ ক্ষেত্রে দলের হাইকমান্ড তার সক্রিয়তা দেখে প্রার্থিতার কথা ভাবতে পারেন।
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা জানান, সদ্য অবসরপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খানের নামও চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আসতে পারে। তবে দলটির শীর্ষ অনেক নেতাই মোর্শেদ খানকে নিয়ে আর ভাবতে চান না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, আমরা চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে এখনও আলোচনা করিনি। প্রার্থীর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত হয়নি। আবদুল্লাহ আল নোমান নিজে নির্বাচন করতে চাইলে তো দলের জন্য ভালো। এখন স্থায়ী কমিটিতে নিশ্চয়ই এটা নিয়ে আলোচনা হবে।
অন্যদিকে ওই আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী তার অনুসারী আবু সুফিয়ানের পক্ষাবলম্বন করতে পারেন।