
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ নির্মূলে রোল মডেল। জঙ্গি দমনে আমরা অনেকটাই সফল হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ বিরোধী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছিলেন, জঙ্গিবাদ দমনের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই কাজটি আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সুন্দরভাবে করেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় উগ্রবাদবিরোধী জাতীয় সম্মেলন ২০১৯-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন যৌথভাবে আয়োজন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসিইউ), ইউএসএইড ও জাতিসংঘ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের খেয়াল রাখতে হবে আমাদের ছেলে মেয়ে যেন নিঃসঙ্গতা, বিষণ্নতা ও একাকীত্বে না ভোগে। তাদের বিভিন্নভাবে যুক্ত করতে হবে। তাহলে তাদেরকে আমরা জঙ্গিবাদের মতো মতবাদ বা চিন্তা-ভাবনা থেকে দূরে রাখতে পারবো।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, আমি সবাইকে অনুরোধ করবো ইন্টারনেটে কোনো কিছু দেখে সহজে বিশ্বাস না করতে। শুধুমাত্র নিশ্চিত হলেই সেটা বিশ্বাস করা উচিত। নিজের বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগাতে হবে আমি বিশ্বাস করবো কি করবো না।
তিনি আরো বলেন, কোনো মাদরাসা জঙ্গি তৈরি করে না। কেননা ইসলামে এটার কোনো স্থান নেই। তাছাড়া বিশ্বের কোনো ধর্মেই মানুষ হত্যাকে বিশ্বাস করে না।
পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. জাবেদ পাটোয়ারি বলেন, ২০১৬ সালের পরে আমাদের দেশে বেশ কিছু অভিযান হয়েছে। আমরা জঙ্গিদের এনকাউন্টার করেছি, ধ্বংস করেছি বলেই এখন এর সুফল ভোগ করছি। কিন্তু বাইরে থেকে আমরা উগ্রবাদীদের চিহ্নিত করি, মামলা দেই, গ্রেফতার করে জেলে ঢুকাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাদের সংশোধন হচ্ছে না।
আইজিপি বলেন, যারা জঙ্গিবাদের অভিযোগে কারাগারে যাচ্ছে এবং মুক্ত হয়ে ফিরে আসছে তাদের পুনর্বাসন একটি পরিকল্পনা করতে হবে আমাদের। তারা আমাদেরই সমাজের সন্তান। তাদের মূল সমাজে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা থাকতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন মসজিদগুলোর ইমামদেরকে মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রচার করতে বলেছি। এর ফলে যাদের জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, তারা ধর্মের সুষ্ঠু ব্যাখ্যা পেয়ে আর এ পথে যাবেন না।