ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আজ রোববার বেলা পৌনে ১টার দিকে এ হামলা চালানো হয়। এতে নুরসহ অন্তত ১৫ জন ছাত্র আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুরের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়। এছাড়া বাইরে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুঁড়ছেন।
জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ হামলায় অংশ নেন। এসময় ডাকসুর সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য তাদেরকে বাধা দিতে গেলে তাকেও শিবির আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিত করেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
পরে সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান সোহান এবং জিএস সিয়াম হামলায় অংশ নেন। তারাও লাঠিসোটা নিয়ে ভিপি নুর এবং অনুসারীদের মারধর শুরু করেন। প্রক্টরিয়াল টিম গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে, ঘটনার সময় ভিপি নুরের কক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন। সবাই মিলে মারধর করে নুরের কক্ষ থেকে পাঁচ জনকে বের করে দেন।
একপর্যায়ে সনজিত ও সাদ্দাম সেখান থেকে বেরিয়ে আসলে অন্য একটি গ্রুপ ডাকসু ভবনে প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে তারাও নুরসহ অন্যদেরকে মারধর শুরু করেন।
ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের একজন নেতা বলেন, ‘আমাদের ওপর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগ হামলা করেছে। ভিপি নুর আহত হয়েছেন। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতা হাসান আল মামুনের পা ভেঙে গেছে। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।’
ঘটনাস্থলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমও উপস্থিত আছেন। ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ অন্যরা ডাকসু ভবনে এসেছে। তবে তারা আমাদের এ বিষয়ে কিছু অবহিত করেনি। ডাকসু ভবনের সামনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় বহিরাগত কয়েকজন আহত হয়েছেন।’