
কোন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ প্রমাণিত হলে কোন ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম(বার)।
আজ রোববার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কোয়ার্টারলি কনফারেন্সে অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যকালে এ নির্দেশ প্রদান করেন। সভায় সকল রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটনের কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপারগণ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা, রাজশাহীর প্রিন্সিপ্যাল মোহাম্মদ নাজিবুর রহমান, র্যাবের মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত আইজি (এএন্ডও) ড. মোঃ মইনুর রহমান চৌধুরী, এন্টিটেররিজম ইউনিটের প্রধান মোহাম্মদ আবুল কাশেম, রেলওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজি মোঃ মহসিন হোসেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অতিরিক্ত আইজি আবদুস সালাম, ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম, সিআইডি’র অতিরিক্ত আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, টিএন্ডআইএম’র অতিরিক্ত আইজি মোঃ ইকবাল বাহার, এপিবিএন’র অতিরিক্ত আইজি মোশারফ হোসেন, অতিরিক্ত আইজি (এফএন্ডডি) মোঃ শাহাব উদ্দীন কোরেশী, অতিরিক্ত আইজি (এইচআরএম) বিশ্বাস আফজাল হোসেন, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান এবং পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ প্রধান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছি। মাদকের সাথে কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তিনি যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ প্রমাণিত হলে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
এসময় তিনি চাঞ্চল্যকর মামলাসমূহ নিবিড় তদারকির জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এবং বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত মামলা মনিটর করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
আইজিপি বলেন, থানাকে জনগণের আস্থায় আনার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। থানায় আসা জনগণের সাথে ভাল আচরণ করতে হবে। তাদের সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশের কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। পুলিশ সম্পর্কে জনগণের মাঝে ইতিবাচক ধারণা তৈরিতে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আইজিপি বলেন, বর্তমানে দেশে জঙ্গি তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটসহ অন্যান্য ইউনিটকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। জঙ্গিদের কার্যক্রম এবং তাদের অবস্থান সম্পর্কে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে।
সভায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) ওয়াই এম বেলালুর রহমান গত ৩ মাসের (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৯) সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। সভায় অপহরণ, খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদকদ্রব্য, চোরাচালান দ্রব্য, অস্ত্র ও বিষ্ফোরক উদ্ধার, সড়ক দুর্ঘটনা, গাড়ি চুরি, রাজনৈতিক সহিংসতা, অপমৃত্যু, পুলিশ আক্রান্ত মামলা, পরোয়ানা তামিলসহ দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় এন্টিটেররিজম ইউনিটের নতুন ওয়েবসাইট ও এ্যাপস Inform ATU উদ্বোধন এবং বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির জার্নালের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সূত্র: ডিএমপি নিউজ।