1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
তারাগঞ্জে নবীনবরণ, বিদায় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পলাশবাড়ীর কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে “ভুয়া দরপত্রের মাধ্যমে গাছ বিক্রি” শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা বদলী : নতুন পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম ফুলছড়িতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে দুইজন আটক পোশাকের রং বদলায়, কিন্তু বদলায় কি পুলিশের আচরণ? গাইবান্ধায় এনসিপির মনোনয়ন ফরম তুলেছেন যারা পলাশবাড়ী পৌর জামায়াতের নির্বাচনী মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ী উপজেলা জাতীয়তাবাদী তারেক জিয়ার প্রজন্ম দলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন রাজশাহীতে বিচারকপুত্র হত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন গাইবান্ধায় বিএনপির প্রার্থীকে বিজয়ী করতে জাসাসের মতবিনিময় সভা

পরীক্ষা থাকছে না তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত, বিকল্প যা থাকছে

  • আপডেট হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

ভবিষ্যতে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা না রাখার ব্যাপারে কাজ করে আসছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের শুরুতেই এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতিও চূড়ান্ত করেছে ১০ সদস্যের কমিটি।

এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবার। একই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা কিভাবে সহজ করা যায়, সে ব্যাপারেও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে বলেছেন তিনি।

এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ২০২১ সাল থেকে আমরা তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে শিক্ষার্থীদের বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। আর আগামী বছর (২০২০) ১০০ থেকে ১৫০ স্কুলে পাইলটিং হিসেবে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা তুলে দিয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ২০২১ সাল থেকে সব স্কুলে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা তুলে দেয়া হবে।

সচিব আরও বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা একেবারে তুলে দেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কোনো নির্দেশনা দেননি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এটাকে কিভাবে আরও আধুনিকায়ন ও সহজীকরণ করা যায়, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বইয়ের বোঝা কমাতে বলেছেন, যাতে শিশুরা চাপে না পড়ে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব প্রাথমিক সমাপনী রাখার পক্ষেই তার মতামত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, পঞ্চম শ্রেণি শেষে একটি পরীক্ষা থাকা দরকার। আগে একটি স্কুল থেকে পাঁচ-সাতজন বৃত্তি পরীক্ষা দিত। এতে অভিভাবকরা ভালো ফলের জন্য বাচ্চাদের প্রচণ্ড চাপ দিতেন। কিন্তু এখন একই পরীক্ষার মাধ্যমে সবাই বৃত্তি পরীক্ষায়ও অংশ নিতে পারছে।

এছাড়া আগে একই ক্লাসে একাধিকবার থাকা বাচ্চার সংখ্যা বেশি ছিল। এখন সেটাও অনেকাংশেই কমেছে। তবে এই পরীক্ষার মূল্যায়ন ও গ্রেডিং পদ্ধতি কিভাবে সহজ করা যায়, বিকল্প পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা যায় কি না, সে ব্যাপারে আমরা কাজ করব, যাতে জিপিএর পেছনে দৌড়াতে না হয়।

জানা যায়, প্রথমদিকে ২০২০ সাল থেকেই তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা তুলে দেয়ার ব্যাপারে চিন্তা করেছিল মন্ত্রণালয়, কিন্তু জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সঙ্গে আলোচনার পর সেখান থেকে সরে আসে। কারণ ২০২১ সাল থেকে প্রাথমিকে নতুন পাঠক্রম চালু হচ্ছে। ফলে ওই বছর থেকেই ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নতুন কায়দায় মৌখিক, লিখিত, পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ও কাজ করতে দিয়ে (অ্যাসাইনমেন্ট) তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে। প্রতিদিন শিক্ষার্থীর দক্ষতা যাচাই করতে হবে শিক্ষকদের। এছাড়া তিনভাবে ফলাফল সংরক্ষণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো হলো শিখনফলভিত্তিক বা পাঠ শেষে, প্রান্তিকভিত্তিক ও মিশ্র (প্রথমে মাসভিত্তিক রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে। পরে শিক্ষকরা মূল্যায়ন পদ্ধতিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠলে শিখনফলভিত্তিক রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে)।

বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শোনা, বলা, পড়া ও লেখা—এ চারটি বিষয়ে মূল্যায়ন করা হবে। বিভিন্ন রকম ধ্বনি ও শব্দ শুনে আলাদা করতে পারা, শুদ্ধ ও প্রমিত উচ্চারণে বলার পারঙ্গমতা দেখা হবে। স্পষ্ট ও সঠিক আকৃতিতে লিখতে পারা এবং পড়ার ক্ষেত্রে উচ্চারণ, সাবলীলতা, শুদ্ধতা, শ্রবণযোগ্যতা যাচাই করে মূল্যায়ন করা হবে।

গণিত বিষয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন কাঠামোতে গাণিতিক প্রক্রিয়া (যোগ, বিয়োগ, গুণ বা ভাগ) কেন ব্যবহার করতে হয় তা বুঝতে পারা। ভিন্ন ভিন্ন গাণিতিক প্রক্রিয়া ব্যবহারের কৌশল জানা ও যৌক্তিক ব্যাখ্যা বুঝতে পারা দেখা হবে। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের মূল্যায়নে শিক্ষার্থীদের সমাজ ও পরিবেশ বিষয়ে জানা, অনুধাবন, প্রয়োগ করা দেখা হবে। প্রাথমিক বিজ্ঞান মূল্যায়নে কোনো বিশেষ তথ্য বা অভিজ্ঞতা স্মরণ করার মানসিক ক্ষমতা দেখা হবে। এছাড়া শিক্ষক কাগজ-কলমে বা লেখা বা চিত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শেখাবেন।জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি ২০১০-এর সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা না রাখার ব্যাপারটা আমরা পুরোপুরি সমর্থন করি। তবে ধারাবাহিক মূল্যায়নে দুর্বলদের জন্য নিরাময়মূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। সবাইকে না শিখিয়ে কোনোভাবেই পরবর্তী অধ্যায়ে যাওয়া যাবে না। আর পঞ্চম শ্রেণি শেষে পাবলিক পরীক্ষা রাখার পক্ষে আমরা নই। এটা অমানবিক চাপ। আর যে বৃত্তির কথা বলা হচ্ছে, সেটাও রাখার কতটুকু দরকার? কারণ এখন বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই উপবৃত্তি পাচ্ছে। এই উপবৃত্তির পরিধিটা আরো বাড়িয়ে দিলেই হয়। কারণ অনেক শিশুই বৃত্তি না পেলেও ওপরের ক্লাসে উঠে তারা ঠিকই ভালো করে।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft