
গডফাদারগিরি করে নেতা হওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শনিবার নগরের লালদিঘি ময়দানে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এর আগে সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বুয়েটে আবরারকে যারা হত্যা করে- এই কর্মীর আমাদের প্রয়োজন নেই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কথায় কথায় যারা কলহ করে, মারামারি করে এই কর্মীর আমাদের প্রয়োজন নেই। যারা রাজশাহীতে অধ্যক্ষকে পানিতে ফেলে দেয় এই কর্মীর আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই। মাস্তানি করে, গডফাদারগিরি করে নেতা হওয়া যাবে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা সুশৃঙ্খল আওয়ামী লীগ চাই, সুসংগঠিত আওয়ামী লীগ চাই। বিশৃঙ্খলা চাই না। সুবিধাবাদীদের দলে চাই না। অতিথি পাখিদের স্থান হবে না আওয়ামী লীগে। ত্যাগী কর্মীদের নেতা বানানো হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা মহানগরে যাদের নামে বেশি শ্লোগান, যাদের নামে বেশি বিলবোর্ড, যাদের নামে বেশি পোস্টার তারা কেউ সভাপতি-সম্পাদক হতে পারেনি। কারো শ্লোগানে আমরা নেতা বানাবো না।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, মাহফুজুর রহমান মিতাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকরা।
সম্মেলনে উত্তর চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন থেকে ১৫-২০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীর সমাগম হয়।
দ্বিতীয় পর্বে বিকেল ৩টায় নগরের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে কাউন্সিলর অধিবেশন। এতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন। কেন্দ্রীয় নেতারা নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করবেন।