
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনের আলোকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের নারী উন্নয়েনের বিশাল ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছেন। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। একদিন যেসব উন্নত দেশের দিকে বাংলাদেশ তাকিয়ে থাকতো, আজ যেসব দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে থাকে।
আজ রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ হেরিটেজ ক্রাফট ফাউন্ডেশন এবং গুলশান সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দু’দিন ব্যাপী বিজয় উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী একথা বলেন।
বাংলাদেশ হেরিটেজ ক্রাফট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তিতলি রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভ্যারউইচ এবং ফেয়ার গ্রুপের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) হামিদ আর. চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
পরে মন্ত্রী বিজয় উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত প্রদর্শনীর বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীকে সামনে রেখে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর ওপর দেশের স্বনামধন্য আলোকচিত্রীদের তৈরি চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
তৃণমূল পর্যায়ের হস্ত ও কারু শিল্পীদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের জন্য রাজধানীর পূর্বাচলে একটি স্থায়ী ডিসপ্লে সেন্টার স্থাপন করা হবে বলে জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে পূর্বাচলে একটি জায়গা বরাদ্দ নেয়া হয়েছে। এই জায়গায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রয়, প্রদর্শন এবং বাজারজাতকরণের জন্য সব ধরনের সুবিধা গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ভারি শিল্পের উন্নয়নেও শিল্প মন্ত্রণালয় উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
তিনি আরো বলেন, অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করে। এই অর্জনের জন্য লাখো শহীদ জীবন উৎসর্গ করেছেন। শহীদের স্বপ্ন পুরণে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার গুণগত শিল্পায়নের লক্ষ্য অর্জনে সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অ ল স্থাপনের পাশাপাশি বিসিক শিল্পনগরি স্থাপন করছে। এসব অর্থনৈতিক অ লে নারী উদ্যোক্তারা শিল্প স্থাপনে এগিয়ে আসতে পারেন। এক্ষেত্রে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্ভব সব ধরনের নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তিনি বিজয়ের চেতনা ধারণ করে আগামী প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শিল্পী-সাহিত্যিক, ব্যবসায়ী শিল্পসহ সকল পেশাজীবীকে এক হয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন।